রাজাকার কাদের মোল্লার ফাঁসির আদেশ

রাজাকার কাদের মোল্লার ফাঁসির আদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার আপিলের রায়ে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বেঞ্চ। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আপিল শুনানি শেষে গত ২৩ জুলাই কাদের মোল্লার মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় এক নম্বরে ছিল কাদের মোল্লার আপিলের রায় ঘোষণার বিষয়টি।এর আগে ২৩ জুলাই একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার সাজার পক্ষে-বিপক্ষে করা আপিল আবেদনের ওপর আসামিপক্ষের শুনানি শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। সেদিন প্রধান বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বেঞ্চ আপিলের রায় অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। শেষ দিন শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আমরা আশা করছি, কাদের মোল্লাকে সর্বোচ্চ দণ্ড দেবে আপিল বিভাগ। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কাদের মোল্লাকে কোনো রকম দণ্ড দিলে তা হবে কালো রায়।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনা ৬টি অভিযোগের মধ্যে ২টিতে তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- এবং ৩টিতে ১৫ বছর করে কারাদ- দেন। অন্য একটি অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়। কাদের মোল্লার ফাঁসি চেয়ে শাহবাগে আন্দোলন গড়ে উঠলে তাদের দাবির মুখে ১৭ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবব্যুনাল (সংশোধন) বিল-২০১৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়। এতে নতুন করে সরকারকে আপিলের বিধান দেয়া হয়। ৩ মার্চ কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরদিন ট্রাইব্যুনালের দেয়া দণ্ডাদেশ বাতিল করে অব্যাহতি চেয়ে আপিল করেন কাদের মোল্লা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিলের শুনানি শুরু হয়।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। তার সঙ্গে ছিলেন এডভোকেট তাজুল ইসলাম, শিশির মু. মনির, ইমরান এ সিদ্দিকী, এহসান এ সিদ্দিকী প্রমুখ। সরকারপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান, মুরাদ রেজা প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিনিধি