কেশবপুরে ২৭ বিলে ইরি-বোরো চাষ অনিশ্চিতঃ দিশেহারা কৃষকেরা

কেশবপুরে ২৭ বিলে ইরি-বোরো চাষ অনিশ্চিতঃ দিশেহারা কৃষকেরা

মিজানুর রহমান,কেশবপুর প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ যশোরের কেশবপুরে ঘের মালিকদের অবহেলা আর হরতাল-অবরোধের কারণে কেশবপুরে ২৭ বিলে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষে বিঘœ ঘটছে। কেশবপুরের ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র গতিপথ বিলখুকশিয়ার ৮ ব্যান্ডের সুইচ গেট।
বিগত ৭ বছরযাবৎ নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিল খুকশিয়ার চারিদিকে গ্রামগুলোর নিচ দিয়ে পেরিফেরি বাঁধ দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা ভেড়িবাঁধ কেটে দিয়ে নদীর পলি জোয়ারের সময় বিলে প্রবেশের পথ উন্মুক্ত করে। পলিতে বিল খুকশিয়া অনেক উঁচু হয়েছে নদীর নাব্যতাও ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিল খুকশিয়ার পশ্চিম অংশের ২৬টি বিলে মৎস্য ঘের মালিকগণ কৃষকদের প্রতি বছর ইরি-বোরো আবাদের সেচের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের কথা থাকলেও ঘের মালিকগণ কৃষকদের সাথে কথা দিয়ে কথা রাখছে না। দেশে বিরাজমান হরতাল-অবরোধের কারণে মাছ ধরে দূরদুরন্ত জেলাগুলোতে মাছ রফতানি করতে পারছে না বলে পানি নিষ্কাশন করছে না ঘের মালিকরা। এদিকে ঘের মালিকরা পানি সেচের ব্যবস্থা না করার কারণে কৃষকরা ধানের বীজতলা করতে পারছে না। এ অঞ্চলের কৃষকরা দূরদুরান্তে গিয়ে ধানের চারা উৎপাদনের জন্য মাসিক শতক প্রত ৭শ থেকে ৮শ টাকা করে হারি নিচ্ছে। অনেক  কৃষকের ধানের চারা রোপণ যোগ্য হয়ে গেলেও মৎস্য ঘের মালিকরা ঘের সেচার ব্যবস্থা না করায় ধান লাগাতে পারছে না। চলতি ডিসেম্বর মাস ধান রোপণের সময় পার হয়ে গেলেও ঘের মালিকদের ঘের সেচের কোন উদ্যোগ নেই। একেতো এ অঞ্চলের কৃষকদের বছরে একটি মাত্র ফসল ইরি-বোরো আবাদ। সেই একটি ফসলই যদি কৃষকরা জমি চাষাবাদ করতে না পারে তবে এ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে। মৎস্য ঘের মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে কৃষকেরা কোটি কোটি টাকা মূল্যের ফসল থেকে বঞ্চিত হবে।

এসবিডি নিউজ ডেস্ক