রোমাঞ্চকর ফাইনালে আইপিএলের শিরোপা জিতেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স

রোমাঞ্চকর ফাইনালে আইপিএলের শিরোপা জিতেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স

ক্রীড়া প্রতিবেদক,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ রোমাঞ্চকর ফাইনালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে ৩ উইকেটে হারিয়ে আইপিএলের শিরোপা জিতেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩ বলে হাতে থাকতেই জয় পেয়েছে কলকাতা। এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো শিরোপা জিতল কলকাতা। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা সাকিবের কলকাতার। এর আগে আউট হয়েছেন কলকাতার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান রবিন উথাপ্পা। তিনি এই আসরে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। আইপিএলের সপ্তম আসরের ফাইনালে ব্যাঙ্গালুরুর চেন্বাস্বামী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। প্রথমে ব্যাটিং করে পাঞ্জাব ২০০ রানের টার্গেট দিয়েছে কলকাতাকে। টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল কলকাতা। পাঞ্জাবকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানিয়েছিল কলকাতার অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। পাঞ্জাবের হয়ে ব্যাটিংয়ের সূচনা করতে এসেছিলেন গত ম্যাচের শতক হাঁকানো বীরেন্দর শেবাগ ও মানান ভোরা। উমেশ যাদবের বলে গম্ভীরের তালুবন্দি হয়ে ৭ রানে সাজঘরে ফেরেন শেবাগ। প্রথম উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ২৩ রানে। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন জর্জ বেইলি। সুনীল নারাইনের করা প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ফিরেন তিনি। পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে তাদের সংগ্রহ ছিল দুই উইকেটে ৩২ রান।

সাকিবের করা চার ওভারে পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যানরা করে মাত্র ২৬ রান। ৮ ওভারে দলীয় অর্ধশত হয় পাঞ্জাবের। আর দলীয় শতক আসে মাত্র ৫৯ বলে। ২৯ বলে তিনটি চার আর চারটি ছয়ে শাহা তার অর্ধশত করেন। আর ভোরা চারটি চার আর একটি ছয়ে ৪২ বলে অর্ধশত করেন। বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে তাদের জুটি হয় ১২৯ রানের। ভোরা ৫২ বলে ছয়টি চার আর দুটি ছয়ে চাওলার বলে তার হাতেই বন্দি হওয়ার আগে করেন ৬৭ রান। পাঁচ নম্বরে নামা ম্যাক্সওয়েল শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন। তবে অসাধারণ ব্যাটিং ঝলক দেখিয়েছেন চার নম্বরে নামা শাহা। ৪৯ বল থেকেই তুলে নেন নিজের শতক। দশটি চার ও আটটি চারে ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন শাহা। নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঞ্জাবের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৯৯ রান। শিরোপা জিততে হলে কলকাতাকে করতে হবে ২০০ রান। কলকাতার দলে কোনো পরিবর্তন না থাকলেও পাঞ্জাবের একটি পরিবর্তন হয়েছে। সন্দীপের জায়গায় ফাইনালে দলে এসেছেন বালাজি।

ক্রীড়া প্রতিবেদক