কিছু মনে নেই!

কিছু মনে নেই!

কাজরী তিথি জামান:

বিষন্ন রসায়নে জল দিলে কী মরণ ডাকলো। জীব ও জড়ের পার্থক্য,বীজ থেকে চারা জন্মানো এমনকী পাতার সবুজ কাহিনী সবকিছুর মূলে ঐ একই সাইকেল উড়ে যায়। কাহিনী এক একটি কলমে এক একটি রূপে দৌড়ায় ,হাঁটে,থামে………হাঁফায়। এতো চুপ থেকোনা। সাঁতার শিখতে নদী বদলের খুব প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশে উত্তর বঙ্গের মঙ্গার মতো চারপাশ থৈ থৈ উৎসব। হাতের কাজের দক্ষতা জুড়ে দাও মনেও। যার এক পাশে তুমি অন্যপাশে হরিণের মান -অভিমানের লজ্জা। ইচ্ছেডানার একটা পালক শুধু কঙ্কাবতী গ্রামে রঙের ঘর-বসতি নিয়ে ব্যস্ত থাক। এই মুহূর্তে ন্যায় অন্যায় জানিনে,জানিনে আরো অনেক কিছু। গ্রীষ্মের আগেই বাজারে তরমুজের ভরপুর সমাহার। অতএব আমার মতো বেকারের আবেগে জলের কদর আরো বাড়লো। নোনজল,মেঘজল,জলে জল…..!!! শুধু তেল আর জল মিশলোনা। আর সাঁতার শেখা নদীটিও ভুলে গেল সেই মুখ ,দুরন্তপনার স্বেচ্ছানির্বাসন।

নবগঙ্গার ধারে মাছরাঙা চুপ,মানুষ নয়। ওরা তখন সর্বভূক কবুতর। মন্দ কী! মন্দ কী ! স্থিরতা নামুক সন্ধ্যা ঘিরে। গল্পমুখের জয় হোক। যে যা পারেনা সেখানেই তার উপচে পড়া জ্ঞান। কত সহজেই পাখিরা ওম জড়িয়ে কাঁপুনি ডাকলো। এতো সহজে কোনো চাকুরী বা ব্যবসা ও জোটে না। শেষ বলে কিছু নেই। বিকল্পের রূপও রঙমিস্ত্রীর নখের দাগে। দরিদ্র সাধু কন্যার জীবনেও কবিতার সংসার। তার মনের খুঁটিতে বাগদত্তা সম্ভাবনা উঁকি দিয়ে বাড়ন্ত দানায় বিমর্ষ স্বরে বলে,আমিও যে কেন তাকে চিনতে পারিনি। এ জীবনে আনাজের দায় -দায়িত্ব নেই,নেই আততায়ী শিলার আঘাত। পথটাই শুধু ঈমানদার নয়। ভেতরে আনলো বা বাইরে ছুঁড়ে দিলো একই মাটি। বাতাসের অভাবে শ্বাস প্রশ্বাসে নিদারুণ ঝামেলা । অক্সিজেন চাই…!!! আবারও গাছ,বনায়ন কখনও জঙ্গল। দুদিনেও সারা জীবন হয়। মানুষ জানতে চাই কুশল। বেঁচে থাকি যেমন বাঁচায় আরো একটু দাবী। আরো একবার একপলক দেখার নগ্ন ইচ্ছা। প্রতি মুহূর্তে যদি ভাবি কেমন আছো তুমি… শিল্প দূরত্ব বাড়বে? কী জানি! প্রেম সাধুবেশে মাঝরাতে আর কবিতা লিখছেনা। সাইকেল গড়িয়ে যাচ্ছে নবগঙ্গার বুক চিরে। দেখা হলেই সেই হাসি।

…..”যদি করতলে লাগে আঁচ,জলে ঠোকরায় মাছে…..” অকাল রসায়নে এর বেশী আর কী !তিনিই আমাদের পরবর্তী কিংবদন্তী। এরপর “কিছু মনে নেই”…আমার ও আমাদের।

[কাজরী তিথি জামান: প্রাবন্ধিক]

অতিথি লেখক