শুনছো?

শুনছো?
কাজরী তিথি জামান:যাওয়া আসার খরচ বলতে অবসরটুকু। না, এটুকু সত্য হলো না।  যখন-তখন মন কেমন করে ,বুকটা খালি খালি লাগে। দুপুরে ভীষণ মাথা যন্ত্রণায় উনুনের ছুটি আর অন্যান্য কাজে যাবতীয় নিরামিষ গন্ধে খরচ হওয়া সময়টাই তোমার কাছে যাওয়া।  হাওয়ার শরীরে সাওয়ার হওয়া মনের তৃষ্ণা কম কী বলো? কিচ্ছু ভালো লাগে তখন! মনে হয় ছাদনা তলায় মন্ত্র উচ্চারণের সময়টা ছিটকে গেছে শীতালক্ষ্যার মাঝতরঙ্কে। দেখার ভুলও কম নয় । দোষ দিইনা কাউকেই! এমন কী নিজেকেও নয়। অন্তঃত যখন দেখি ‘ভালোবাসা’ বলতে চাঁদের পাশে মুখখানি একই আছে। পূর্ণন্দু পত্রীর “কথোপকথন”-এ হাত রাখি “প্রাণ ছাড়া বাকি সব প্রাণের আরাম “। পাতায় পাতায় তুমি আর আমি। আমি আর তুমি।  বিন্দু বিন্দু ঘামে নেয়ে ওঠা শীত। কাঁপুনির ঝড়ে গ্রীষ্মের আমরা “তোমার বিছানায় বৃষ্টিপাত /আমার ঘরেদোরে ধুলোর ঝড়।” আমি এসব দিনকে স্মৃতি বলিনা। ভালোবাসা স্মৃতি নয়। শ্বাশত ……….
আমার আমিতে তুমি প্রতিদিন। তোমারই কেন্দ্রে রাখা আমার আমি। আকর্ষণকে অস্বীকার করি কীভাবে! আজ মাঘের শেষ। জানি তোমার কৃষ্ণচূড়াতে রঙ লাগবে,উতল হাওয়ায় ভেসে যাবে মেঘ আর মেঘে মেঘে বাঁধনহীন আমন্ত্রণ,……..শুনছো?………..শুনছো………………।একদিন দিনদুপুরে দেখে আসবো। শুনেছি, পরীযায়ী পাখিরাও ঘরে ফেরেনা। কী অদ্ভুত। অচেনা ঘ্রাণে ভরে যায় মাঘের দুপুর । শুনছো?
[কাজরী তিথি জামান: প্রাবন্ধিক]

অতিথি লেখক