শীঘ্রই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

শীঘ্রই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যদি সব দল অংশ নাও নেয়, তবুও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ১ মার্চ (রোববার) বিকালে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, এখন এসএসসি পরীক্ষা চলছে। সামনে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষার সময় শ্রেণীকক্ষগুলো একভাবে সাজানো থাকে। নির্বাচনের জন্য অন্যভাবে সাজাতে হয়। আবার সামনে রোজা রয়েছে। রোজার মধ্যে নির্বাচন অ্যাভয়েড করবো। তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা ও রোজার মধ্যে কিছুদিনের গ্যাপ দরকার। বড় না হলেও মাঝারি ধরনের একটা গ্যাপ যদি দেখিয়ে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, তার মধ্যে আমরা নির্বাচন করে ফেলার চেষ্টা করবো। আমরা শিগগিরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে সব ঠিক করবো। কেননা, রোজার মধ্যে নির্বাচন করা যাবে না। আবার নির্বাচনের জন্য আমরা শিক্ষার্থীদেরও অসুবিধায় ফেলতে চাই না।

এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন রোজার আগেই সম্পন্ন করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এখনও ডিসিসি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন একসঙ্গে করার ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিইনি। কমিশন বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেব। তবে এর আগেও আমরা চার সিটি নির্বাচন একসঙ্গে করেছি। সিইসি বলেন, ডিসিসি নির্বাচনের জন্য মাঠ পর্যায়ের কাজ আগামী ১০ মার্চের মধ্যে গুছিয়ে নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে সীমানা অনুযায়ী ভোটার তালিকা বিন্যাস শুরু করা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্র চূড়ান্ত করার কাজও শুরু হয়ে গেছে। বেশকিছু স্কুলের সামনে ওভারব্রিজ হওয়ায় কেন্দ্র পরিবর্তন হতে পারে। এ নিয়েও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।

সংহিস রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে তিনি বলেন, আশাকরি পরিস্থিতি ভালো হবে। এছাড়া এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনে বেশি সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। তবে আগেও বৈঠক করতে পারি। রকিবউদ্দিন আহমদ বলেন, ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য আমরা সবাইকে আহ্বান জানিয়েছিলাম। এবারও আমরা সবাইকে (রাজনৈতিক দলগুলো) নিয়ে আসার চেষ্টা করব। তারপরও যদি সবাই না আসে নির্বাচন করতে হবে। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, রোজা জুনের মধ্যভাগে শুরু হবে। আর এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী আগামী ০১ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। কাজেই কিছু পরীক্ষা পিছিয়ে রোজার মধ্যে নেয়া হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম-সচিব জেসমিন টূলী, জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি

Related articles