ইলেকট্রনিক মেমোরি সেল উদ্ভাবন

ইলেকট্রনিক মেমোরি সেল উদ্ভাবন

এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্কঃ প্রযুক্তি বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় আরএমআইটির গবেষকরা মানব মস্তিষ্কের মতোই দীর্ঘমেয়াদে স্মৃতি ধরে রাখতে পারবে এমন একটি ইলেকট্রনিক মেমোরি সেল উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে মানব মস্তিষ্ক যেভাবে তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে কৃত্রিম ন্যানো মেমোরি সেল ব্যবহার করে প্রায় সেভাবেই তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের পদ্ধতি উদ্ভাবন করলেন ওই বিজ্ঞানীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়টির মাইক্রো ন্যানো রিসার্চ ফ্যাসিলিটি (এমএনআরএফ) বিশ্বের প্রথম এই মাল্টি-স্টেট মেমোরি সেলটি তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। এটি মানব মস্তিষ্কের মতো একই সঙ্গে তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বহুমুখী সূত্রের তথ্য সংরক্ষণে সক্ষম। এই আবিষ্কারের ফলে যান্ত্রিক মস্তিষ্ক তৈরির পথে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি ধাপ অতিক্রম করল বিজ্ঞানীরা। এর ফলে আলঝেইমার ও পারকিনসন্স এর মতো স্নায়ুবিক রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সাফল্যের নতুন দরজা উম্মুক্ত হবে। সম্প্রতি ম্যাটেরিয়েল সায়েন্স জার্নাল- ‘এডভান্সড ফাংশনাল ম্যাটেরিয়ালস’ এ বিষয়ক গবেষণা পত্রটি প্রকাশ করে।

আরএমআইটির ফাংশনাল ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড মাইক্রোসিস্টেম রিসার্চ গ্রুপের সহ-নেতা ড. শরৎ শ্রীরাম ওই গবেষণা প্রকল্পের নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কারের ফলে মানব মস্তিষ্ক যেমন করে তথ্য আত্মস্থ করে ও সংরক্ষণ এবং পরে যেমনভাবে দ্রুততার সঙ্গে তা বিতরণ করে তেমন ক্ষমতা সম্পন্ন কৃত্রিম মস্তিষ্ক তৈরির পথে আমরা আরেকধাপ এগিয়ে গেলাম।’ মানব মস্তিষ্ক মূলত তার পূর্ব অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে বিবর্তিত হয়। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে আজ পর্যন্ত এর কোনো বিকল্প তৈরি সম্ভব হয়নি। এর আগে আরএমআইটির গবেষকরা খুবই দ্রুতগতি সম্পন্ন ন্যানো স্কেল মেমোরি উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছিলেন। কার্যকরী অক্সাইড উপাদান ব্যবহার করে খুবই পাতলা ফিল্ম এর আদলে (মানুষের চুলের চেয়েও ১০ হাজার গুন পাতলা) ওই মেমোরি উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানীরা। এই গবেষণা প্রকল্পগুলোতে আরএমআইটিকে সহযোগিতা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া সান্তা বারবারা।

[সূত্র: সায়েন্স ডেইলি।]

আন্তর্জাতিক ডেস্ক