৬ উইকেটে জয় টাইগারদের

৬ উইকেটে জয় টাইগারদের

ক্রীড়া প্রতিবেদক,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ সাব্বির রহমান রুম্মানের শট বাউন্ডারি দড়ি পর্যন্ত যাওয়ার আগেই মেতে উঠলো গ্যালারি। মেতে উঠলো সারা দেশ। ড্রেসিং রুমের সামনে দাঁড়ানো ক্রিকেটাররা দৌড়ে মাঠে স্ট্যাম্প খুলে নেয়ার প্রতিযোগিতায়। তারা কি অর্জন করছে সেটা বুঝতে আর বাকি রইল না। এই দিনটার জন্যে কতটা না অপেক্ষা। কতটা দৌড়ঝাপ, কতটা পরিশ্রম করতে হয়েছে। অবশেষে আসলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।

সাব্বিরের উইনিং শটে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় করেছে বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশের ১৮তম সিরিজ ও দেশের মাটিতে ১৪তম সিরিজ জয়। প্রথম ম্যাচে ৭৯ রানে জয় পাওয়ার পর আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় বাংলাদেশের। সেই আত্মবিশ্বাসের জোরেই দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে জয় টাইগারদের। প্রথম ম্যাচের মত দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের নায়ক মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের অভিষেক ম্যাচে ৫ উইকেটের পর ২১ জুন (রোববার) শেরে বাংলায় তুলে নেন ৬ উইকেট। ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ওয়ানডের অভিষেক ও তার পরের ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেয়ার বিরল রেকর্ড গড়েন মুস্তাফিজ। একই সাথে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নেয়ার বিরল রেকর্ডও ১৯ বছর বয়সি মুস্তাফিজের দখলে। সাতক্ষীরার এই বোলারের দাপটে ২২ গজের ক্রিজে মাথা নুইয়েছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।  দ্বিতীয় ম্যাচের আগে হুংকার দেয়া রোহিত শর্মাকে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরত পাঠান মুস্তাফিজ। পয়েন্টে রোহিতের অসাধারণ ক্যাচটি ধরেন সাব্বির রহমান। দ্বিতীয় উইকেটে রান ক্ষরায় থাকা বিরাট কোহলি ও শেখর ধাওয়ান ৭৪ রান জমা করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি তারা। নাসির হোসেনের ঘূর্ণিতে কোহলি (২৩) ও ধাওয়ান (৫৩) আউট হন দলীয় ৭৪ ও ১০৯ রানে।

নাসিরের ঘূর্ণির পর চলে রুবেল হোসেন সাজঘরে ফেরত পাঠান আম্বাতি রাইডুকে(০)। পয়েন্টে আম্বাতি রাইডুর ক্যাচ ধরেন নাসির।  নাসির ও রুবেলে পর বল হাতে আলো ছড়ান মুস্তাফিজুর রহমান।  পাওয়ার প্লে-র প্রথম ওভারে রায়নাকে উইকেটের পিছনে তালুবন্দি করান মুস্তাফিজ। এরপর মিস্টার ডিপেনডেবল ও টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে আউট করেন বাহাতি এই পেসার। দুজনকেই নিজের বিস্ময়কর বল ‘কাটারে’ বধ করেন মুস্তাফিজ। ধোনিকে আউট করার পরের বলেই অক্ষর পাটেলের উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকে সম্ভবনা তৈরি করেন মুস্তাফিজ। কিন্তু নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে নামা রবিচন্দ্রন অশ্বিন কোনো রকমে হ্যাটট্রিক বলটি ঠেকিয়ে দেন। কিন্তু বেশিক্ষণ আর বাঁচতে পারেনি অশ্বিন।

ক্রীড়া প্রতিবেদক