বুদ্ধিমান মানুষের আয়ুষ্কাল বেশি!

বুদ্ধিমান মানুষের আয়ুষ্কাল বেশি!

এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্কঃ বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের আয়ুষ্কালও বেশি হয়, প্রথমবারের মতো এমন কোনো দাবি করলেন বিজ্ঞানীরা। যমজ শিশুদের তথ্য যাচাই ও বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বলছেন, ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই বুদ্ধি ও জীবনকালের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেখা গেছে। জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের কারণেই এমনটা ঘটছে বলেও জানান বিজ্ঞানীরা।

গবেষণায় দেখা গেছে, বুদ্ধিমান যমজরা বাঁচেও বেশিদিন এবং ‘মনোজায়গোটিক’ বা ‘আইডেন্টিক্যাল’ যমজদের চাইতে ‘ডাইজায়গোটিক’ বা ‘ফ্রেটারনাল’ বা ‘নন-আইডেন্টিক্যাল’ যমজদের মধ্যে বুদ্ধিমত্তা ও আয়ুষ্কালের সম্পর্ক বেশি ঘনিষ্ঠ। ‘মনোজায়গোটিক’ বা ‘আইডেন্টিক্যাল’ যমজ বলতে বোঝানো হয়- একই ভ্রূণকোষ থেকে জন্ম নিয়ে পরে দু’টো আলাদা ভ্রূণ সৃষ্টির মাধ্যমে বেড়ে ওঠা যমজ শিশুদের। অন্যদিকে, দু”টো ভিন্ন ডিম্বাণু ও শুক্রাণু থেকে জন্ম নেয়া যমজদের বলা হয় ‘ডাইজায়গোটিক’ বা ‘ফ্রেটারনাল’ বা ‘নন-আইডেন্টিক্যাল’ যমজ। ‘ফ্রেটারনাল’ যমজদের একজনের সাথে অন্যজনের ডিএনএ’র অর্ধেকটাই একইরকম হয়ে থাকে।

‘ফ্রেটারনাল’ ও ‘আইডেন্টিক্যাল’ যমজদের তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে গবেষকরা তাদের জেনেটিক প্রভাব, পরিবেশগত প্রভাব, আবাসন-শিক্ষা-শৈশবে প্রাপ্ত পুষ্টি ইত্যাদির মধ্যে তুলনা করতে পেরেছেন।

লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের গবেষণা সহযোগী রোজালিন্ড আর্ডেন বলেন, ‘আমরা জেনেছি যে বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষায় যেসব শিশুরা বেশি ভালো করেছে, তাদের মধ্যে বেশিদিন বাঁচার প্রবণতা রয়েছে। এছাড়া যেকোনো ক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা, যেমন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যেও বেশিদিন বাঁচার প্রবণতা রয়েছে। তবে এর কারণ আমরা বুঝতে পারিনি। আমাদের গবেষণা বলছে যে বুদ্ধিমত্তা এবং বেশিদিন বাঁচার মধ্যে সম্পর্ক মূলত জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভরশীল।’ তবে এই ফলাফল যে নিঃসন্দেহে কার্যকর তা বলা সম্ভব নয়। আর্ডেন বলেন, ‘আপনার শিশু পরীক্ষায় ভালো ফল করছে মানেই যে সে বেশিদিন বাঁচবে এমনটা ধরে নেয়াও সম্ভব নয়।’

যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন ও ডেনমার্কের যমজদের ওপর পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে এবং তাও কেবল সমলিঙ্গের যমজদের ওপর, জানিয়েছে ডেইলি মেইল। বুদ্ধিমানদের বেশিদিন বাঁচার কারণ কী হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাব হিসেবে আর্ডেন মনে করছেন, হয়তো যে জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের কারণে কেউ বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন- সেই জিন বা ডিএনএ-ই সুস্বাস্থ্যের পেছনেও কোনো ভূমিকা পালন করে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরো অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

[সূত্র: ডেইলি মেইল।]

editor