প্রদীপের নিচে অন্ধকার

প্রদীপের নিচে অন্ধকার

মাহবুব আলম,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ২৪ ডট কমঃ দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিবছর এখানে প্রায় ৩০-৪০ হাজার শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হয়ে থাকে এবং উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ শেষে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বস্তরেই আছে ঢাবির শিক্ষার্থী। চাঁদের যেমন কলঙ্ক থাকে ঠিক তেমনি ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কিছু কলঙ্ক রয়েছে। যা দর্শনাথীদের সামনে ছাত্র-ছাত্রীদের বিব্রত করে তুলে। পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবে বহিরাগত ভবঘুরে ছিন্নমুল মানুষের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। বিশেষ করে ছোট ছোট শিশুদের চকলেট বিক্রয়ের অজুহাতে ছাত্রছাত্রীদের ব্যতিব্যস্ত করে তুলতে দেখা যায়। আবার বারণ করা হলে তারা পা ধরে বসে থাকে। যা বিব্রতকর সকলের জন্য। এদের মুখের বুলি ভালো মত ফোটার আগেই হাতে ধরিয়ে দেত্তয়া হয় ভিক্ষার ঝুলি। খেয়াল করে দেখা যায় একজন সর্বদাই আশেপাশে থেকে তাদের দেখাশোনা করছেন। দুপুর বেলায় খাবারের দোকানের পাশে বসে থেকে এসকল শিশুদের দিয়ে খাবার চেয়ে নেত্তয়া হয় সকলের কাছ থেকে। বয়স্ক মহিলা বসে বসে এসকল কোমল মতি শিশুদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছে ক্যাম্পাসে।
ক্যাম্পাসে সমস্যা মারাত্নক আকার ধারণ করেছে ছিন্নমুল শিশুদের জুতার আঠা দিয়ে নেশা করা। এরা দলবদ্ধ ভাবে ২০-৩০ টাকা হলেই এক কৌটা ড্যান্সি/জুতার সলিউশন পলিথিনের মধ্যে নিয়ে শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করে। তাদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা বলে জুতার আঠা দিয়ে নেশা করলে ক্ষুধা লাগে না। তাই তারা এটি গ্রহণ করে। প্রকাশ্যে এদের নেশা করা ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করেছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত যারা আছে তাদের দৃষ্টি গোচর হয় না। প্রশাসনের নাকের ডগায় মাদক গ্রহণের মত কাজ এরা চালিয়ে যাচ্ছে। এখনই যদি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয় ভবিষ্যতে এরাই দাগী সন্ত্রাসীতে পরিণত হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ক্যাম্পাসের পরিবেশ কলুষিত হচ্ছে দিনে দিনে। যা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিপাত করা প্রয়োজন এখনই।

 

প্রধান সম্পাদক

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।