জেএমবির ‘মাস্টারমাইন্ড’ জিয়া গ্রেফতার

জেএমবির ‘মাস্টারমাইন্ড’ জিয়া গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ জাগৃতির প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনের হত্যাকারী আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক।


বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।


এর আগে মঙ্গলবার রাতে টঙ্গির চেরাগআলী মার্কেটের সামনে থেকে শামীম ওরফে সিফাতকে গ্রেফতার করে পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ (ডিবি)।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিফাত পুলিশকে এসব তথ্য দেন।


সম্প্রতি গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া জঙ্গি হামলার ঘটনায়ও মেজর জিয়ার সম্পৃক্ততার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তাকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।


মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেফতার হওয়া সিফাত দীপন হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। সে হত্যাকাণ্ডের আগে ঘটনাস্থলে গিয়ে রেকি করেছে। হত্যাকাণ্ডের ১ মাস আগে থেকে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিফাত তাদের প্রশিক্ষক হিসেবে মেজর জিয়ার নাম বলেছে।’


‘দীপন হামলার পরিকল্পনাকারী সেলিমসহ আরও কয়েকজনের নাম বলেছে সিফাত। তাকে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে’ বলেন তিনি।


মনিরুল বলেন, ‘প্রকাশক দীপন ছাড়াও সিফাত গত বছরের ৪ জানুয়ারি সাভারে শান্তমরিয়ম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াজ মোর্শেদ বাবু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়।’


অভিজিৎ ও দীপন হত্যাকারীরা একই গ্রুপের তবে তাদের মধ্যে কেউ কমন থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।


জানা গেছে, মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরীচ্যুত কর্মকর্তা। ২০১১ সালে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হয় তাকে। এরপর থেকেই তিনি আত্মগোপনে আছেন।


২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো এবিটির সঙ্গে জিয়াউল হকের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায় পুলিশ। জিয়া জঙ্গিদের যুদ্ধ ও বোমা তৈরি ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন বলে তথ্য আসে তাদের কাছে।


পুলিশ জানায়, ২০১৩ সালে এবিটি প্রধান মুফতি জসিমউদ্দিন রাহমানী গ্রেফতার হওয়ার পর এই নিষিদ্ধ সংগঠনের অন্যতম ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে জিয়ার নাম বেরিয়ে আসে। তখন জেএমবির একাংশের সঙ্গে এই বহিষ্কৃত সেনা কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকার তথ্যপ্রমাণ পায় পুলিশ। সেই থেকেই পলাতক জীবনযাপন করছেন জিয়া। তার সঙ্গে পাকিস্তানে নিহত আরেক জঙ্গি নেতা এজাজের সঙ্গেও যোগাযোগের তথ্য মেলে।

নিজস্ব প্রতিনিধি