সাংবাদিক ফরহাদ খাঁ’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী

সাংবাদিক ফরহাদ খাঁ’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী

ছবি: ফরহাদ খাঁ।

এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্ক: স্বস্ত্রীক সাংবাদিক ফরহাদ খাঁ হত্যার ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি নয়াপল্টনের ৭৭ নম্বর বাসায় নৃশংসভাবে ফরহাদ খাঁ (৬৪) ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুনকে (৫০) গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।


নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর নিহতের ভাগ্নে নাজিমুজ্জামান ইয়ন ও তার বন্ধু রাজুকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এবিএম সাজেদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। ২০১২ সালের ১ মার্চ মামলার গ্রেফতার ২ আসামি নাজিম ও রাজু হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। মামলার শুরু থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ফরহাদ খাঁর মোবাইল ফোন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি ছুরি এবং রক্তমাখা কাপড়-চোপড় উদ্ধার করেছে।


স্বীকারোক্তিতে নাজিম জানান, মামা ফরহাদ খাঁর গলায় তিনি নিজেই ছুরি চালিয়েছিলেন। আর তার মামি রহিমাকে হত্যা করেছিলেন তার বন্ধু রাজু। রাত সাড়ে ১০টার পর তিনি রাজুকে নিয়ে ফরহাদ খাঁর বাসায় যান। তাদের ড্রইংরুমে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। রহিমা খাতুন তাদের রাতের খাবার খেতে বললে তারা খেয়ে এসেছেন বলে জানান। রাত ২টার দিকে তারা উঠে আলমারির চাবি খোঁজে। কিন্তু না পেয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে। টেবিলের উপর থেকে একটি এবং রান্নাঘর থেকে আরেকটি ছুরি নিয়ে ঘুমন্ত স্বামী-স্ত্রীকে হত্যা করেন তারা।


গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, ফরহাদ খাঁর ছোট বোন নাজনীন ইতির একমাত্র ছেলে নাজিম বেকার ছিলেন। মামা ও মামিকে হত্যার পর আলমারি থেকে ২০ হাজারের বেশি টাকা, কিছু স্বর্ণালঙ্কার এবং একটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়েছিলেন তারা।


১৯৪৭ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার গান্ধিনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফরহাদ খাঁ। ৭ ভাই, ২ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। একমাত্র মেয়ে আইরিন ইতালি প্রবাসী। বিএ পাস করে শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁর একান্ত সচিব হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ফরহাদ খাঁ। পরে সমবায় অধিদফতরে যোগ দেন। মাসিক সমবায় পত্রিকার তিনি ছিলেন অন্যতম কর্ণধার। প্রবীণ এ সাংবাদিক কাজ করেছিলেন বহু জাতীয় দৈনিকে। ভারত বিচিত্রা পত্রিকায় কাজ করেছেন ৩০ বছর। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি কর্মরত ছিলেন দৈনিক জনতার সিনিয়র সহ-সম্পাদক হিসেবে।

এসবিডি নিউজ ডেস্ক