‘মোটাগুনিয়া’ এবং মেয়র সাহেবরা

‘মোটাগুনিয়া’ এবং মেয়র সাহেবরা
ছবি: আনিস আলমগীর।

আনিস আলমগীর:আজ হঠাৎ একটা হিন্দি সিনেমার ট্রেইলর চোখে পড়লো। এক লোক মশা মারছে। অন্যজন জানতে চাইলো কি মারছে? বললো, ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া। তার মানে চিকনগুনিয়ার সঙ্গে মুম্বাই আগে থেকে পরিচিত, ঢাকার আগে মুম্বাইওয়ালারা চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। অারেকজন ইনবক্স করে জানালেন, চিকনগুনিয়া এসেছে ইস্ট আফ্রিকান দেশ তানজানিয়া থেকে। ১৯৫২ সাল তানজানিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে প্রথম এ জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। চিকুনগুনিয়া শব্দটিও এসেছে তানজানিয়ার মাকোন্ডে নৃ-গোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা কিমাকোন্ডে থেকে। চিকুনগুনিয়ার অর্থ হচ্ছে গিঁটের ব্যথায় কুঁকড়ে যাওয়া।


ঢাকায় গত মাস দু’ এক ধরে এই চিকনগুনিয়া কীভাবে রাজত্ব করছে আরতো কাউকে বয়ানের অপেক্ষা রাখে না। ক’দিন আগে মেয়র আনিস চিকনগুনিয়ার জন্য মাফ চেয়েছেন। আজতো মিডিয়ার খবরে দেখলাম উনি এর জন্য নাগরিকদের অসচেতনতাকে দায়ী করছেন। ক্যামনে কি! মশাও মারেন না, আবার দোষও দেবেন- কি করে হয়! ঈদের দিনের মতো ঈমাম সাহেব আজকের জুমার মোনাজাতেও চিকনগুনিয়া থেকে মানুষের মুক্তি চাইলেন। শুধু মোনাজাতে কাজ হবেতো মনে হয় না। মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা লাগবে।


জুমার নাম পড়ে বের হচ্ছি, একজন সাবেক রাষ্ট্রদূত কুশলাদি জানতে চেয়ে পরামর্শ দিলেন প্রতি সন্ধ্যায় যেন মোটা মোজা পরি। বললাম, আমার চিকনগুনিয়াতো একবার হয়ে গেছে, আর হওয়ার চান্স নেই। উনি জোর দিয়ে বলেন, না না হওয়ার চান্স আবারো আছে। দিনাজপুরের দিকে ‘মোটাগুনিয়া’ দেখা দিয়েছে। এমন আক্রমন করছে কমর, কিডনি শেষ। শরীরে প্রচুর র ্যাশ দেখা দিচ্ছে। অনেক বেশি।


আমি সত্যি কনফিউজড মোটাগুনিয়া’ নামে কিছু আছে কিনা! এভাবে চলতে থাকলে ক’দিন পর দেশে দুইটা শ্রেণির মানুষ পাওয়া যাবে–চিকনগুনিয়া আক্রান্ত আর অনাক্রান্ত।


[আনিস আলমগীর: সাংবাদিক।]

অতিথি লেখক