দেশে ফিরেছেন আজ, কাল আত্মসমর্পণ

দেশে ফিরেছেন আজ, কাল আত্মসমর্পণ

বিশেষ প্রতিনিধি, এসবিডি নিউজ24 ডট কম: লন্ডনে চিকিৎসা শেষে ৯৪ দিন পর দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১৮ অক্টোবর (বুধবার) ৫টা ৫মিনিটে তিনি ঢাকা পৌঁছান বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার।

বিএনপি নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঢল নামে বিমানবন্দর সড়কে ও এর আশপাশে। খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছেন।


তিন মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্যে খালেদা জিয়া ফিরলেন দেশে। ফেরার পর বিএনপি চেয়ারপারসনকে গ্রেপ্তারের কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না, মঙ্গলবার সাংবাদিকরা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘পরোয়ানা হাতে আসলে এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


চিকিৎসার জন্য গত ১৫ জুলাই খালেদা জিয়া লন্ডন যান। বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ছিলেন তিনি। ঈদও করেন সেখানে। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতির দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে ১৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে আদালতে উপস্থিত হবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ১২ অক্টোবর তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুই মামলায়ই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ আদালত। খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতির দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করতে আদালতে উপস্থিত হবেন। তিনি বিদেশ থেকে আসায় ক্লান্ত।


বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে মামলা দুটির যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য রয়েছে। দুই মামলারই সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

বিশেষ প্রতিনিধি