২১ রানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে

২১ রানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে

ক্রীড়া প্রতিবেদক,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ জয়ের জন্য ২৬৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে সূচনাটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৫ রান যোগ করেছিলেন তামিম ইকবাল ও নাজিমুদ্দিন। ১১তম ওভারে নাজিমুদ্দিন সাজঘরে ফিরলেও দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাটিং করে গেছেন তামিম। দ্বিতীয় উইকেটে জহুরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে আবার ৪৫ রানের জুটি গড়েছিলেন এই বামহাতি ওপেনার। ব্যাটিংয়ে প্রথম বলেই শূণ্য রানে সাজঘরে ফিরেছিলেন শহীদ আফ্রিদি। বল হাতে যেন তারই কিছুটা শোধ তুলেছেন পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার। টানা দুই ওভারে জহুরুল ইসলাম (২৩) ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের (৩) উইকেট তুলে নিয়েছেন আফ্রিদি। ৬৪ রানের ইনিংস খেলে অনেকক্ষণ ধরে বাংলাদেশী শিবিরে আশার আলো জ্বালিয়ে রেখেছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ২৯তম ওভারে দলীয় ১৩৫ রানের মাথায় মোহাম্মদ হাফিজের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন এই বামহাতি ওপেনার। পরের বলে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের বলি হয়ে ০ রানে ফিরে গেছেন মাহমুদুল্লাহ। ষষ্ঠ উইকেটে ৮৯ রানের ম্যাচ জেতানোর আশা জাগানো এক জুটি গড়ে তুলেছিলেন সাকিব ও নাসির। কিন্তু ৪৪তম ওভারে নাসির (৪৭) সাজঘরে ফেরার পর খুব দ্রুতই ভেঙ্গে পড়ে বাংলাদেশী ইনিংস। একে একে ফিরে যান আব্দুর রাজ্জাক, মাশরাফি মোর্তজা ও শফিউল ইসলাম। ২১ রানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।

বল হাতে পরপর দুই বলে উমর আকমল ও শহীদ আফ্রিদির গুরুত্বপূর্ণ দুইটি উইকেট তুলে নেওয়ার পর ব্যাট হাতেও বাংলাদেশকে জয়ের আশা দেখিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। খেলেছিলেন ৬৬ বলে ৬৪ রানের এক চমত্কার ইনিংস। কিন্তু অনেক কাছাকাছি গেলেও দলকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারেননি বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। প্রচুর উত্তেজনা ছড়িয়ে শেষপর্যন্ত তীরে এসেই তরী ডুবেছে স্বাগতিকদের। ১১ বল বাকি থাকতেই ২৪১ রানে গুটিয়ে গিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মাত্র ২১ রানের হার নিয়ে। তবে ম্যাচটা শেষপর্যন্ত হারলেও এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই জমজমাট লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দুই দলের ক্রিকেটাররাই। এর আগে দিবারাত্রির এই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। উদ্বোধনী জুটিতেই ১৩৫ রানের জুটি গড়ে স্বাগতিক বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়েছিলেন পাকিস্তানি দুই ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ ও নাসির জামশেদ। ২৮তম ওভারে রানআউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন নাসির (৫৪)। এর পর খেলায় ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে আর ৬৫ রান যোগ করতেই সাজঘরমুখী হয়েছেন সাতজন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। পরপর তিন ওভারে অভিজ্ঞ ইউনুস খান (১২) এবং হাফিজ (৮৯) ও আসাদ শফিকের (৪) উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশি শিবিরে আশার আলো জ্বালান শাহাদাত হোসেন। কিছুক্ষণ পর ৪০তম ওভারে উমর আকমল (২১) ও শহীদ আফ্রিদিকে (০) সাজঘরে পাঠিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেন সাকিব আল হাসান। এক ওভার পর অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হককেও (৮) আউট করেন আবদুর রাজ্জাক। ১৯৮ রানে সাত উইকেট তুলে নেওয়ার পর আরও কম রানেই পাকিস্তানকে বেঁধে রাখার সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন বাংলাদেশি বোলাররা। কিন্তু অষ্টম উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে লড়াকু স্কোর এনে দিয়েছেন সরফরাজ আহমেদ ও উমর গুল। দীর্ঘদিন পর মাঠে নেমে নিজের শেষ ওভারে উমর গুলের উইকেট পেয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।