আজকালের মধ্যেই দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হবে ।। এই নিয়ে বর্তমান সরকারের আমলে পাইকারি ও খুচরা বিদ্যুতের মূল্য ৫ বার বাড়ছে!

আজকালের মধ্যেই দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হবে ।। এই নিয়ে বর্তমান সরকারের আমলে পাইকারি ও খুচরা বিদ্যুতের মূল্য ৫ বার বাড়ছে!

সৌরভ চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা দাম আবারো বাড়ছে। মঙ্গলবার অথবা বুধবারের মধ্যে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এ নিয়ে বর্তমান সরকারের আমলে পাইকারি ও খুচরা বিদ্যুতের মূল্য বাড়বে ৫ বার। এবার পাইকারি বিদ্যুতের দাম ৮ শতাংশ এবং খুচরা বিদ্যুতের দাম ৪ থেকে ৬ শতাংশ বাড়ানো হবে।
সর্বশেষ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের পাইকারি দাম ৩ টাকা ২৭ পয়সা থেকে ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ বাড়িয়ে ৩ টাকা ৭৪ পয়সা এবং প্রতি ইউনিট খুচরা বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা ৭১ পয়সা থেকে বেড়ে ৫ টাকা শূন্য ২ পয়সা করা হয়। গত বছরের (২০১১) ২৪ নভেম্বর পাইকারি দাম এবং ২২ ডিসেম্বর গ্রাহক পর্যায়ে খুচরা দাম পৃথকভাবে দুই দফায় বাড়ানো হয়। প্রথম দফায় এটি ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়, দ্বিতীয় দফায় এ দাম চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। বিইআরসি সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। আজকালের মধ্যেই দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া যাবে। গত ১৯ মার্চ বিইআরসির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন জানিয়ে দেন, বিতরণ সংস্থাগুলোর জন্য বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হবে আগামী সপ্তাহে। সে দিনই তিনি গ্রাহক পর্যায়ে খুচরা দাম অন্তর্বর্তীকালীন ৫ শতাংশ বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন। ওইদিন বিইআরসির সভাকক্ষে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি গ্রহণ করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন, কমিশন সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ ও প্রকৌশলী ইমদাদুল হক। শুনানিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) পক্ষ থেকে পাইকারি (বাল্ক) বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ৪১ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিইআরসির মূল্যায়ন কমিটি ২২ পয়সা দাম বাড়ানোর সুপারিশ করে। বর্তমানে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য ইউনিট প্রতি ৩ টাকা ৭৪ পয়সা রয়েছে।
পিডিবির প্রস্তাবে আরো বলা হয়, ২০১১-১২ অর্থবছরে কম দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করায় ৩ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা ঘাটতি হয়। এছাড়া ২০১১ সালের ২৯ ডিসেম্বর জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা বাড়ানো হয়। এতে করে গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ১৩৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা ঘাটতি হয়েছে।

বিশেষ প্রতিনিধি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।