যে কোনো ধরণের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে মোতায়েন থাকবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য

যে কোনো ধরণের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে মোতায়েন থাকবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য

এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেক্সঃ রাজধানীতে বাংলা নববর্ষ ১৪১৯ বর্ষবরণ উৎসবকে নিরাপদ রাখতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রমনা পার্কের বটমূলসহ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, চারুকলা ইন্সটিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর এলাকা তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যে কোনো ধরণের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে মোতায়েন থাকবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তা সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা, প্রবেশ পথে আর্চওয়ে ও তল্লাশি। এর মধ্যে ডিএমপির ৭৬টি ও র‌্যাবের ৪০টি সিসিটিভি ক্যামেরা, যা কয়েকটি কন্ট্রোল রুম ও সাব কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে। উৎসব স্থলের সব ক’টি প্রবেশ মুখে থাকবে আর্চওয়ে ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তল্লাশি কার্যক্রম।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৭ হাজারের বেশি ও র‌্যাবের আড়াই হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পুলিশ ও র‌্যাবের ফাইন্ড অ্যান্ড লস্ট কন্ট্রোল রুম থাকবে, যাতে কেউ হারিয়ে গেলে সহজেই তাকে খুঁজে পাওয়া যায়। উৎসবস্থলে সাদা পোশাকে র‌্যাব-পুলিশেরসহ সহস্রাধিক সদস্য পুরো এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকবে, যাতে সন্দেহভাজন কিছু পাওয়া মাত্র ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। রমনা বটমূলের উৎসবস্থলটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠান। উল্লেখিত এলাকাসমূহে যে কোনো ধরণের বিশৃংখলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধকল্পে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থায় থাকবে। র‌্যাব-পুলিশের ২৩টি চেকপোস্টসহ ১৪টি রুফটপ অবজারভেশন পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী র‌্যাব-পুলিশের পিকআপ/মোটর সাইকেল টহলসহ গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ১৪ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পুরো উৎসবস্থল নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে রাখা হবে। গোয়েন্দা সদস্য, বোম ডিসপোজাল টিম, ডগ স্কোয়াড, মেডিক্যাল টিম এবং সিসিটিভির মনিটরিং এর মাধ্যমে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এছাড়া দেশব্যাপী স্পর্শকাতর স্থানসমূহে বিশেষ করে সিনেমা হল, চিড়িয়াখানা এবং বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলার যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে জনসাধারণের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জানিয়েছেন, রাজধানীবাসীর বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে করে কোনো ধরণের অবাঞ্চিত ঘটনা ছাড়াই তারা বৈশাখী উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

এসবিডি নিউজ ডেস্ক