শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের নামে মূলত জাতিকে বিভক্ত করছেঃগয়েশ্বর

শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের নামে মূলত জাতিকে বিভক্ত করছেঃগয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ২৪ ডট কমঃ আজ শনিবার সকালে প্রেসক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের ৫৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত ‘কাগমারী সম্মেলনঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতাঃ মওলানা ভাসানী’-শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য বিএনপি‘র স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের নামে মূলতঃ জাতিকে বিভক্ত করছে। প্রকৃত যুদ্ধাপরাধিদের বিচার করলে অবশ্যই আমরা তাকে সমর্থন করতাম।”

দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি‘র সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দলের মহাসচিব এম.গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনপিপি চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, মুসলিম লীগ মহাসচিব আতিকুল ইসলাম, কল্যান পার্টি মহাসচিব আবদুল মালেক চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক এহসানুল হক জসিম, বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট কাজী মনিরুল হুদা, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত বারুরী, যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, দপ্তর সম্পাদক মোঃ নুরুল আমান চৌধুরী টিটো, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, নগর সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদুন্নবী ডাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক আন্দোলন সাধারণ সম্পাদক হাফেজ শেখ নাসির, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্রদল আহবায়ক এম.এন. শাওন সাদেকী, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, আমিনা খাতুন মনি প্রমুখ।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশ আজ এক ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে চলছে। শেখ হাসিনার দুঃশাসন ৭২-৭৫‘র দুঃসানকেও হার মানিয়েছে। শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের নামে মূলতঃ জাতিকে বিভক্ত করছে। প্রকৃত যুদ্ধাপরাধিদের বিচার করলে অবশ্যই আমরা তাকে সমর্থন করতাম। কিন্তু, যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের নামে কোন নাটককে আমরা সমর্থন করতে পারি না। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে যে সকল আওয়ামী লীগের এমএনএ ও এমপিরা মালেক সরকারকে সমর্থন করেছিল তাদেরও বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, দেশীয় মাল দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের আদালন হতে পারে না। যারা রাজাকারদের সাথে আত্মীয়তা করে আবার সংসদে দাড়িয়ে যখন যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের কথা বলেন তখন জাতি লজ্জ্বিত হয়। সীমান্তে যখন ভারতীয় আগ্রাসনের কারনে আমার বোন ফেলানীসহ নিরিহ নাগরিকদের হত্যা করেন তাদের পক্ষে যারা কথা বলেন তারা প্রকৃত অর্থে জাতিয় বিশ্বাস ঘাতক। সেনাবিদ্রোহের যে নাটক মনস্থ হয়েছে তার নাটের গুরু আওয়ামী লীগের ভিতরেই লুকায়িত। সৈয়দ আশরাফের বন্ধুরাই সেনা বিদ্রোহের সাথে জড়িত।

নিজস্ব প্রতিনিধি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।