অলিখিত চুক্তিতে বন বিভাগঃ সুন্দরবনের অভয়ারন্যে জেলেদের অনুপ্রবেশে বাধা নেই!

অলিখিত চুক্তিতে বন বিভাগঃ সুন্দরবনের অভয়ারন্যে জেলেদের অনুপ্রবেশে বাধা নেই!

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ সুন্দরবনের মৎস্য ও বন্য প্রাণীদের নিরাপদ প্রজনন, বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে সরকার সুন্দরবনের কয়েকটি সুন্দর নিরাপদ নয়নাভিরাম স্থানকে অভয়ারন্যে আওতায় এনে এ সকল স্থানে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ। বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা এসব স্থানে জেলেদের সাথে অলিখিত চুক্তিতে প্রতিদিন মাছ ধরতে দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সাতক্ষীরা রেঞ্জ, পশ্চিম বন বিভাগের আওতায় পুষ্পকাটি, নোটাবেঁকী ,নীলকোমল, মান্দার বাড়িযা, হলদীবুনিয়া সহ  ১৯ টি খাল ও তৎ সংলগ্ন সুন্দরবনকে অভয়ারন্যে এলাকা হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। প্রতিদিন শত শত জেলে এসব নিষিদ্ধ ঘোষিত নদ-নদীতে নেট জাল দিয়ে মাছ ধরে থাকে। মুন্সিগঞ্জ জেলে পরিবারের নিমাই জানান, ২ জন জেলে একটি ডিঙি নৌকা নিয়ে খালে মাছ ধরলে ৩/৪ হাজার টাকার মাছ ধরা যায়। এক্ষেত্রে বনবিভাগকে দিতে হয় মাথা পিছু ৩ শ টাকা কালিঞ্চি গ্রামের অরবিন্দ মন্ডল জানান, কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা আলাউদ্দীন জন প্রতি জেলেদের নিকট থেকে ২/৩ শ টাকা নিয়ে বনে প্রবেশের মৌখিক অনুমতি দিয়ে থাকেন।শ্যামনগরের উপকূল অঞ্চলে কয়েক হাজার জেলে আছে যারা সুন্দরবন ও তৎ সংলগ্ন নদ-নদীর উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।বনে বাঘ , জলে কুমির ও ডাকাতদের অত্যাচার উপেক্ষা করে এসব জেলেরা মাছ ধরে থাকে। জেলেদের সাথে নৌকা নিয়ে বনবিভাগকে তুষ্ট করে জেলে সেজে অনেক হরিণ শিকারী অভয়ারন্যে প্রবেশ করে কখনো ফাঁদ পেতে কখনো বন্দুক দিয়ে গুলি করে হরিণ শিকার করে।

উল্লেখিত অভয়ারন্যের মধ্যে সাধারণের প্রবেশের ফলে বনের গাছ কেটে উজাড় করছে ,ফলে  সুন্দরবনের ভারসম্য হারিয়ে যাওয়ার বন্যপ্রাণী,পাখ-পাখালী তাদের নিরাপদ স্থান থেকে বিড়াড়িত হচ্ছে। অধিক মুনাফা লাভের আশায় অসাধু জেলেরা ছোটুবড় খালের মুখে জোয়ারের পানিতে ঢেলে দিচ্ছে বিষ। এই বিষ মিশ্রিত পানি খাল দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ফলে সকল প্রজাতির মাছ যখন বিষের তেজে ছট ফট করে তখন অসাধু জেলেরা জাল দিয়ে মাছ গুলোকে সহজে ধরে ফেলে।

এসবিডি নিউজ ডেস্ক