সাংবাদিকরা নিজেরাই এখন পত্রিকার শিরোনাম!

সাংবাদিকরা নিজেরাই এখন পত্রিকার শিরোনাম!

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভঃ  বিশ্বের যেসব দেশে সাংবাদিক হত্যার বিচার হয় না, সেসব দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। সাংবাদিক খুন হয় আর তার বিচার হবে না তা কী করে হয়? পরিসংখ্যানটি আতকে ওঠার মতো। গত দেড়যুগে ৩৯ সাংবাদিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে মাত্র ৫৬ হাজার বর্গকিলোমিটারের এই দেশটিতে। সর্বশেষ সাংবাদিক দম্পতি ‘সাগর-রুনি’ হত্যার ঘটনার পর সংবাদপত্র থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তা হলো ৩৯ সাংবাদিক হত্যাকান্ডের একটি ঘটনারও সঠিক বিচার হয়নি। খবর সংগ্রহকারী সাংবাদিকরা নিজেরাই খবর হচ্ছেন। প্রতিবছরই একাধিক সাংবাদিকের অপঘাতে মত্যু হচ্ছে, কিন্তু সারা জীবন সত্যের পেছনে ছুটে বেড়ানো এসব সাংবাদিকদের হত্যারহস্য হিমশীতল বরফের আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। কেবল বিচারই নয় একটির হতাকান্ডেরও রহস্য প্রকাশিত হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যাপন করছেন স্বাভাবিক জীবন। কেউ কেউ রয়েছেন জামিনে। কেউ আবার মিডিয়াতেই কর্মময় জীবন যাপন করছেন। অনেক হত্যাকান্ডের বিচারকাজ এমনকি তদন্তকাজ, চার্জশিট ঝুলে আছে। কয়েকটি মামলার ক্ষেত্রে বছরের পর বছর সময় নিয়েও তদন্ত শেষ করতে পারেনি পুলিশ। এ দীর্ঘ সময়ে সাংবাদিক হত্যারও বিচার না হওয়া রাষ্ট্রের অমার্জনীয় ব্যর্থতা। এ ব্যর্থতার দায় কোনো সরকারই এড়াতে পারবে না। এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে অস্তিত্ব রক্ষায় সাংবাদিক সমাজকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। দলীয় সন্ত্রাসী ক্যাডার, মাস্তান, ভাড়াটে কিলার, ঠিকাদার, কালোবাজারি, অসাধু ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজদের রক্ষা, সুবিধাভোগী পুলিশ বাহিনীর দুর্বল তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা অন্যতম কারণ। বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কিছু মামলা বছরের পর বছর তদন্তের নামে কালক্ষেপণ করে দীর্ঘ সময় নিয়েও তদন্ত কাজ শেষ করতে পারেনি পুলিশ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা, মূল অপরাধীদের পাশ কাটিয়ে চার্জশিট প্রদান, দুর্বল অভিযোগ উত্থাপন এবং চার্জশিটভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার না করার অভিযোগ আছে। এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধে প্রভাবশালী খুনিদের পক্ষ নিয়ে নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি প্রদর্শনেরও অভিযোগ আছে। নিম্ন আদালতের দীর্ঘসূত্রতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। একটি বিষয় লক্ষণীয় যে প্রায় সাংবাদিক হত্যার পেছনে রাঘববোয়ালদের হাত থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরাসরি জড়িত প্রভাবশালীরা। যার কারণে বিচারকাজ প্রভাবিত হয়। এ অবস্থা একটি রাষ্ট্রের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এতে খুনিরা উৎসাহিত হচ্ছে। সাংবাদিক হত্যাকান্ডের সংখ্যা বাড়ছে। ভাবা কি যায় কেবল ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের শাসনামলে ৩ বছর ১ মাসে ১৪ সাংবাদিক খুন হয়েছেন। এসব খুন দেশের সন্ত্রাসী খুনিদের উস্কে দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে সাংবাদিক হত্যার বিচার না হলে সাধারণ মানুষের কি হবে? যেহেতুক গত দেড়যুগে ৩৯ সাংবাদিক হত্যাকান্ডের একটিরও বিচার হয়নি, প্রভাবিত হয়েছে সবগুলো মামলা। আমরা মনে করছি সাগর-রুনির মামলাটিও প্রভাবিত হচ্ছে তাই প্রয়োজনে বিশেষ বিবেচনায় এনে সরকার এসব মামলাগুলো নিষ্পত্তি করতে পারে। দরকার হলে এ ক্ষেত্রে বিশেষ আদালত গঠনের মাধ্যমে ফি বছর ধরে ঝুলে থাকা মামলাগুলো বিচারকাজ শুরু করা যেতে পারে। রাষ্ট্রর অভ্যন্তরে গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে হলে সাংবাদিকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। অথচ আমাদের দেশে আজ পর্যন্ত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তো দূরে থাক কোনো সাংবাদিক হত্যাকান্ডো-ই বিচার হয়নি বলে অভিযোগ উঠছে হরদম। সরকারকে এসব হত্যাকান্ডের বিচারে অবশ্যই আন্তরিক ও কঠোর হতে হবে। সম্প্রতি মাছরাঙা টেলিভিশন ও এটিএন বাংলার সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকান্ডের ঘটনায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি আবারো আলোচনায় চলে এসেছে। কোনো একটি মামলার বিচারকাজ আজ পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। বিচার প্রক্রিয়ার এই দীর্ঘসূত্রতা অপরাধীদের আরো বেপরোয়া করে তুলছে। ফলে তারা সাংবাদিকদের বাসগৃহে প্রবেশ করে নৃশংসভাবে হত্যা করার মতো স্পর্ধা দেখাতেও পিছপা হচ্ছে না। সাগর ও রুনির ঘটনা সাংবাদিকরা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ জীবনে বসবাস করে তা সবার সামনে স্পষ্ট করে দিয়েছে। তবে দুঃখজনক হলো, এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে ঊর্ধ্বতনদের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য সচেতন মহল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। আমরা চাই, দেশে সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচার দ্রুত সম্পন্ন হোক। এটি একটি দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতার জন্য জরুরি। এখন আর মুখের কথায় কেউ আস্থা স্থাপন করতে চায় না। সাগর-রুনির হত্যাকান্ড নিয়ে কোনো টালবাহানাও দেশের জনগণ ও সাংবাদিক মহল মেনে নেবে না। তাই সংশ্লিষ্টমহল এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন ও বাস্তবিক পদক্ষেপ নিয়ে অতিসত্বর মূল অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে বিচারের সম্মুখীন করবে এটাই আমরা বিশ্বাস করতে চাই। আতঙ্কের কথা হলো, এখন সাংবাদিকরা খুন হচ্ছেন নিজের ঘরেই। খোদ ঢাকায় ১ বছরের ব্যবধানে নিজে গৃহে সাংবাদিক ফরহাদ খাঁ দম্পতি ও সাগর-রুনি দম্পতি খুন হয়েছেন। দিনের পর দিন এই হত্যাকান্ড বেড়েই চলছে। গত দেড় যুগে খুন হওয়া ৩৯ সাংবাদিকের মধ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের শাসনামলে ৩ বছর ১ মাসে ১৪ সাংবাদিক খুন হয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকাতেই খুন হয়েছেন ১০ সাংবাদিক। এছাড়া সড়ক ও জনপথ খুন করেছে আরো ৫ সাংবাদিক, বিভিন্ন তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, বর্তমান সরকারের শাসনামলের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আহত হয়েছেন ৩৪০ সাংবাদিক, বিশিষ্ট সাংবাদিক নিউ এইজের সম্পাদক নুরুল কবিরসহ ১৬৯ সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। বিগত ‘বিএনপি-জামায়াত’ জোট সরকারের আমলে খুন হয়েছে ১০ সাংবাদিক। চলতি বছরেই খুন হন ২ জন, ১১ ফেব্রুয়ারি খুন হয়েছেন সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়ির রিপোর্টার মেহেরুন রুনি। এ আলোচিত হত্যাকান্ডের রহস্য সরকারের সর্বোচ্চ সংস্থা হস্তক্ষেপ করেও উদ্ঘাটন করতে পারেনি। ২০১১ সালে খুন হন ৫ জন, ২৮ জানুয়ারি রাজধানীতে সাংবাদিক দম্পতি প্রবীণ সাংবাদিক ফরহাদ খাঁ ও তার স্ত্রী রহিমা খানম, ৭ এপ্রিল ‘দৈনিক আজকের প্রত্যাশা’র সাংবাদিক মাহবুব টুটুল এবং একই দিন সাপ্তাহিক ‘বজ্রকণ্ঠ‘র সাংবাদিক আলতাফ হোসেন, ৭ ডিসেম্বর ‘ দৈনিক ভোরের ডাক’ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি ফরিদুল ইসলাম রাঞ্জু। ২০১০ সালে খুন হন ৩ জন, ২৮ এপ্রিল ‘সাপ্তাহিক ২০০০’র সিলেট প্রতিনিধি ফতেহ ওসমানী, ৯ জুন ‘এটিএন বাংলা’র সিনিয়র ক্যামেরাম্যান শফিকুল ইসলাম টুটুল এবং ২৩ ডিসেম্বর মুলাদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মনির হোসেন রাঢ়ী। ২০০৯ সালে খুন হন ৪ জন, ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ‘মনটিভি’র ভিডিও এডিটর আতিকুল ইসলাম আতিক, জুলাই মাসে পাক্ষিক ‘মুক্তমন’র স্টাফ রিপোর্টার নুরুল ইসলাম ওরফে রানা, আগস্ট মাসে গাজীপুরে ‘সাম্প্রতিক সময়’র নির্বাহী সম্পাদক এমএম আহসান হাবিব বারী এবং ডিসেম্বরে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আবুল হাসান আসিফ। ২০০৫ সালে খুন হন ৩ জন, ১১ ফেব্রুয়ারি ‘দৈনিক সংগ্রাম’র সাংবাদিক শেখ বেলাল উদ্দিন, ২৯ মে ‘দৈনিক কুমিল্লা মুক্ত কণ্ঠ‘র সম্পাদক মুহাম্মদ গোলাম মাহফুজ এবং ১৭ নভেম্বর ‘দৈনিক সমকাল′র ফরিদপুর ব্যুরো প্রতিনিধি গৌতম দাস। ২০০১ সালে খুন হন ৪ জন, ২ মার্চ ‘দি নিউ এজ’র সাংবাদিক আবদুল লতিফ পাপ্পু, ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘দৈনিক সংবাদ’র খুলনা ব্যুরো প্রধান, নিউএজ ও বিবিসির সাংবাদিক এবং খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মানিক সাহা, ২৭ জুন খুলনার ‘দৈনিক জন্মভূমি’ পত্রিকার সম্পাদক হুমায়ুন কবির বালু, ২ অক্টোবর বগুড়ার ‘দৈনিক দূর্জয় বাংলা’র নির্বাহী সম্পাদক এবং বিএফইউজের তৎকালীন সহ-সভাপতি দীপঙ্কর চক্রবর্তী। ২০০২ সালে খুন হন ২ জন, ২ মার্চ খুলনার ‘দৈনিক পূর্বাঞ্চল′র স্টাফ রিপোর্টার হারুনার রশীদ খোকন এবং ৫ জুলাই খুলনা ডুমুরিয়ার সাংবাদিক সরদার শুকুর হোসেন। ২০০১ সালে খুন হন ১ জন, ২১ এপ্রিল খুলনার ‘দৈনিক অনির্বাণ’ পত্রিকার সাংবাদিক এসএম নহর আলী। ২০০০ সালে খুন হন ২ জন, ১৫ জানুয়ারি ঝিনাইদহ জেলার ‘বীরদর্পণ’র সাংবাদিক মীর ইলিয়াস হোসেন দিলীপ এবং ১৬ জুলাই ‘দৈনিক জনকণ্ঠ‘র যশোর প্রতিনিধি শামছুর রহমান কেবল। ১৯৮ সালে খুন হন ২ জন, ১৬ জুলাই কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা এবং ৩০ আগস্ট ‘দৈনিক রানার’ সম্পাদক সাইফুল আলম মুকুল। ১৯৯৬ সালে খুন হন ৩ জন, ১২ জুন চুয়াডাঙ্গার ‘দিন বদলের কাগজ’র সাংবাদিক বজলুর রহমান, ১৯ জুন সীতারার ‘দৈনিক পত্রদূত’র সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম আলাউদ্দিন এবং একই সালে নীলফামারীর ‘নীলসাগর’ পত্রিকার সাংবাদিক কামরুজ্জামান। ১৯৯৫ সালে খুন হন ১ জন, যশোর জেলার ‘দৈনিক রানার’ পত্রিকার সাংবাদিক ফারুক হোসেন। ১৯৯৪ সালে খুন হন ২ জন, যশোর জেলার ‘দৈনিক স্ফুলিঙ্গ’ পত্রিকার সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী ও মানিকছড়ির সাংবাদিক কামাল হোসেন। এছাড়াও ২০০০ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে আরো ৫ খুনের তালিকায় যারা আছেন তাদের মধ্যে, ‘দৈনিক জনবাণী’র রিপোর্টার বেলাল হোসেন, যশোরের ‘দৈনিক রানার’র গোলাম মাজেদ, রাঙ্গামাটির ‘মনটিভি’র প্রতিনিধি জামাল উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় ‘দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক আহসান আলী, মৌলভীবাজারের ফারুক আহমেদ। এসব সাংবাদিক হত্যাকান্ডের মামলাগুলো বলা যায় প্রায় প্রত্যেকটিই হিমাগারে আছে। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক বলে বিবেচিত। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব সহকারে সমাজ ও রাষ্ট্রের নানা অনিয়ম, অসঙ্গতি কলমের ডগায় তুলে আনেন তারা। বস্তুনিষ্ঠতা ও সততার সঙ্গে পৌঁছে দেন সাধারণ মানুষের কাছে। বর্তমান বিশ্ব ইলেকট্রনিক মিডিয়ার নখদর্পণে। তাই মুহূর্তের মধ্যে সংবাদ চলে আসে জনসাধারণের দোরগোড়ায়। আর এসব সংবাদ পৌঁছে দিতে প্রিন্টিং ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা তাদের সর্বোচ্চ মেধা, শ্রম, দায়িত্ব ও আন্তরিক সেবা বিনিয়োগ করেন। এসব তথ্য ও অসঙ্গতি তুলে ধরে যেমন দেশের নাগরিকদের তাদের ন্যায্য অধিকার সম্বন্ধে সচেতন করে তোলেন তেমনি সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টদেরও বাধ্য করেন সঠিক পথ অনুসরণ করে সঠিক কাজটি করতে। এর ফলে অনেক সাংবাদিকই হয়ে ওঠেন অশুভচক্রের চক্ষুশূল। সংবাদ সংগ্রহ ও উপস্থাপনকারীর জীবন হয়ে ওঠে বিপন্ন। তবু প্রাণের ঝুঁকি জেনেও কখনো তারা থেমে থাকেন না দায়িত্ব পালনে। যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করে সত্যের সন্ধানে ছুটে চলেন দেশ-বিদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত। অতীতের অভিজ্ঞতায় সর্বশেষ সাংবাদিক দম্পতি ‘সাগর-রুনি’ হত্যার বিচার হবে কি না, তা নিয়ে সাংবাদিক মহলই নয়, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে সংশয় দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে আমাদের দেশের সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। জাতির বিবেক সাংবাদিক হত্যা রহস্যই যদি ঢাকা থাকে আঁধারে, তবে আর সাধারণ মানুষ কীভাবে বিচার পাবে? গত দেড় দশকে একজন সাংবাদিক হত্যারও বিচার না হওয়া রাষ্ট্রের অমার্জনীয় ব্যর্থতা। কোনো সরকারই এ ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারে না। আমরা সাংবাদিক হত্যার সব কটি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চাই।

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভঃ সম্পাদক,এসবিডি নিউজ24 ডট কম।

jsb.shuvo@gmail.com

প্রধান সম্পাদক