আমাকে দুর্নীতিবাজ বলা প্রধানমন্ত্রীর মুখে মানায় নাঃ মওদুদ

আমাকে দুর্নীতিবাজ বলা প্রধানমন্ত্রীর মুখে মানায় নাঃ মওদুদ

নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, প্রচলিত আইনে বিচার হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০৮ বছরের সাজা হতো। ১৩ অক্টোবর (শনিবার) সকালে জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত এক নাগরিক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল শুক্রবার গণভবনে শ্রমিক লীগের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মওদুদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা গুলশানের একটা বাড়ির লোভ সামলাতে পারে না, বিদেশিদের সঙ্গে প্রতারণা করে সেই বাড়ি বেহাত করে নেয়, যে ২০টা নামে অ্যাকাউন্ট খুলে এত বড় ফ্রড করে, যে দুর্নীতির জন্য জেল খাটে, জেনারেল এরশাদ যারে ক্ষমা-ঘেন্না করে মাফ করে দিয়ে আবার দলে ভিড়িয়ে নেয়, তার রিপোর্ট বাংলাদেশের মানুষের কাছে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে?’
এর আগে গতকাল সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বৌদ্ধবিহারে হামলার ঘটনায় ৬৭ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বিএনপি। নয় সদস্যের তদন্ত দলের প্রধান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকারের নিষ্ক্রিয়তাই এ ঘটনাপ্রবাহ সংঘটিত হতে সব ধরনের সহায়তা করেছে। সরকার নিজেদের মদদে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমাকে দুর্নীতিবাজ বলা প্রধানমন্ত্রীর মুখে মানায় না। তিনি ভুলে যাচ্ছেন, তাঁর বিরুদ্ধেও ১৪টি দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। ক্ষমতায় এসে নিজেরাই সেগুলো তুলে নিয়েছেন। এসব মামলায় প্রচলিত আইনে বিচার হলে ১০৮ বছরের সাজা হতো তাঁর।’
রামু, উখিয়া ও পটিয়ায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপির তদন্ত দলের প্রতিবেদন সত্য দাবি করে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এই সত্য যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করতে না পেরে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন। এটি আওয়ামী লীগের পুরোনো অভ্যাস, যুক্তিতে না পারলে তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে।’
মওদুদ দাবি করেন, ‘সরকার বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনাকে কার্ড হিসেবে ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের জন্য সরকার এটা করেছে। এতে কোনো লাভ হবে না। এবার তারা ধরা পড়ে গেছে। বিদেশিরাও দেখেছেন, ২৯ তারিখ রাত নয়টা থেকে পরবর্তী আট ঘণ্টা ঘটনাস্থলে সরকারের কোনো উপস্থিতি ছিল না। কেন উপস্থিত ছিলেন না, এসব জবাব প্রধানমন্ত্রী দিতে পারেননি।’ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, রফিক-উল হক, এবিএম মূসাসহ এমন কোনো ব্যক্তি নেই, যাঁকে প্রধানমন্ত্রী অপমান করেননি বলেও তিনি অভিযোগ করেন মওদুদ।
জিয়া পরিষদের সভাপতি কবির মুরাদের সভাপতিত্বে শোকসভায় অন্যদের মধ্যে ‘দৈনিক আমার দেশ’ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জিয়া পরিষদের নেতা এ কে এম মনসুর প্রমুখ বক্তব্য দেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি

Related articles