পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ ।। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানীর মতিঝিল এলাকা

পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ ।। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানীর মতিঝিল এলাকা

সৌরভ চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে ৫ নভেম্বর (সোমবার) বিকেলে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানীর মতিঝিল এলাকা। সংঘর্ষ চলাকালে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা একটি বাস, পুলিশের একটি ভ্যান, তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। কিছু যানবাহনও ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা করে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এ ঘটনায় পুলিশের সদস্যসহ জামায়াত-শিবিরের বেশ কজন কর্মী আহত হন। অপরদিকে, আজ কুষ্টিয়া ও বগুড়াতেও পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীসহ দলের শীর্ষস্থানীয় নয়জন নেতা ও কারাগারে আটক সব রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবিতে গতকাল আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল জামায়াতে ইসলামী। ওই ঘোষণা অনুযায়ী আজ বিকেলে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে।
মতিঝিল এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে রাস্তায় সমাবেশ শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এতে নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। তখন ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
রমনা বিভাগের পুলিশের সহকারী কমিশনার শিবলী নোমান বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা হঠাত্ মিছিল শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা পুলিশকেও জিম্মি করে ফেলেন। এ সময় পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়।’
অন্যদিকে, এই সংঘর্ষের ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার  বলেন, ‘এ ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম। এ সময় পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে এবং লাঠিপেটা শুরু করে।’

বিশেষ প্রতিনিধি

Related articles