আইনপ্রতিমন্ত্রী ডিসেম্বরের মধ্যে ফাঁসির আদেশ দিয়ে দিচ্ছেন বলে হৈচৈ করলেও কিছু হয় নাঃ সাকা

আইনপ্রতিমন্ত্রী ডিসেম্বরের মধ্যে ফাঁসির আদেশ দিয়ে দিচ্ছেন বলে হৈচৈ করলেও কিছু হয় নাঃ সাকা

নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী স্কাইপি সংলাপ সম্পর্কে বলেন, চোরের বিচার হবে না; বিচার হবে, কেন চোর ধরা হয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর (বুধবার) ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি বিচারকদের উদ্দেশে এ কথা বলেন।  এ সময় ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এমপির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের এক সাক্ষীর ক্যামেরা ট্রায়াল নিয়ে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তীব্র বাক বিতণ্ডা হয়।  তখন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ট্রাইব্যুনালে আরও বলেন, বিচার বিভাগের সম্মান রক্ষার্থে সংলাপের পুরোটাই শোনা দরকার। মোট ১৭ ঘণ্টা সংলাপের মধ্যে প্রকাশ করেছে মাত্র ২ ঘণ্টা। তিনি ট্রাইব্যুনালকে উদ্দেশ্য করে বলেন,  স্কাইপি সংলাপ বিষয়টি যারা প্রকাশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে অর্ডার দেয়া হয়েছে। কিন্তু যারা চুরি করলো তাদের বিরুদ্ধে কোনো অর্ডার দেয়া হলো না। তিনি বলেন, ইকোনমিস্টের কভার পেইজে ‘ইন জাস্টিস বাংলাদেশ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অসম্মানের। এতে আমাদের মান বাড়েনি বরং কমেছে।  সাকা বলেন, মনে করেছিলাম ট্রাইব্যুনাল বিচলিত হয়ে যাবে। এখন আমি নিজেই বিচলিত হয়েছি।  তিনি বলেন, আইনপ্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ডিসেম্বরের মধ্যে ফাঁসির আদেশ দিয়ে দিচ্ছেন বলে হৈচৈ করলেও কিছু হয় না। আর আমরা বললে, বলা হয়- বসেন।  আমরা হয়তো প্রসিকিউশনের মতো মানসম্মত কথা বলতে পারি না। সোয়া লাখ টাকা বেতন পাই কথা বলতে পারি না। আজকে দুই বছর পরে কথা বলছি। আপনিও স্পিকারের মতো বসিয়ে দেবেন।  এ সময় সাকা ক্যামেরা ট্রায়াল সম্পর্কে বলেন এই মহিলা সাক্ষী কি ধর্ষণের বিষয়ে সাক্ষী দেবেন নাকি যে তার ক্যামেরা ট্রায়াল দিতে হবে। তিনি সুলতানা কামালের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী নাকি। কৈ সুলতানা কামাল তো প্রকাশ্যে জবানবন্দি দিয়ে গেলেন। ওনার তো সম্মান হানি হয়নি।  মালুমকে বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের নামের আগে একটি বিশেষণ লাগিয়ে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান। একজন সম্পর্কে বলেছেন যে দুই লাইন ইংরেজি লেখার যোগ্যতা নেই। এই ট্রাইব্যুনালে কর্মরত কলিগদের সম্পর্কে ট্রাইব্যুনালের বাইরের এক ব্যাক্তির সঙ্গে কি বিচারক হয়ে এসব মন্তব্য করতে পারে।  সাকা চৌধুরী বলেন, সেখানে জেয়াদ আল মালুম সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, সে মামলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আদালত সময়ের আগে ও পরে সাবেক চেয়ারম্যান নিজামুল হকের সঙ্গে কথা বলতেন। মালুম বলতেন আমি বার বার দাঁড়িয়ে যাব, আপনি আমাকে বসিয়ে দেবেন যা পূর্ব পরিকল্পিত বলে মনে হয়েছে। আরও আছে বেলজিয়ামের অধিবাসী জিয়াউদ্দিন বিচারপতি নিজামুল হককে বলেছেন, মালুম ভাইকে কিছু সার্পোট আমাদের দিতেই হবে। কারণ ওনারা রিয়েলি এই ডকুমেন্ট টকুমেন্ট নিয়ে বেকায়দায় আছে। আর এই যে সিমন টিমন (প্রসিকিউশনের সদস্য) এরা আসলে এফিশিয়েন্ট না।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি স্কাইপির মাধ্যমে বেলজিয়ামের ব্রাসেলস প্রবাসী আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের সংলাপের ওপর সংবাদ প্রকাশিত হয় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায়। এরপর গত মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র জমা দেন বিচারপতি নিজামুল হক।

নিজস্ব প্রতিনিধি

Related articles