শৃঙ্খলা গড়ে তুলতে নতুন বীমা আইন আসছে

শৃঙ্খলা গড়ে তুলতে নতুন বীমা আইন আসছে

বিশেষ প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ বীমা খাতে শৃঙ্খলা গড়ে তুলতে নতুন বীমা আইন আসছে। এ লক্ষে বীমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) একটি খসড়া প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। খসড়াটি ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে আইডিআরএ।  নতুন এ খসড়ায় ৬৭ বছরের বেশি বয়সের কেউ বীমা কোম্পানির এমডি, বর্তমানে কোনো পরিচালক নতুন বীমা কোম্পানির মালিক বা পরিচালক হতে পারবেন না এবং শহর ও গ্রামে সমান সংখ্যক শাখা খোলাসহ বেশকিছু কঠিন শর্ত রয়েছে।  এ আইনের পাশাপাশি লাইফ ও নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত সাতটি আইন চূড়ান্ত করার জন্য পাঁচ সদস্যের দুটি আলাদা কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আইডিআরএ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।  এ বিষয়ে আইডিআরএ চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ বলেন, বীমা কোম্পানির এ আইনটি অনুমোদনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে উদ্যোক্তাদের জন্য আবেদনপত্র ছাড়া হতে পারে। প্রবিধানমালায় যেন কোনো ধরনের ত্রুটি না থাকে এজন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। বীমা কোম্পানিগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষে এ নীতিমালা করা হচ্ছে।  এর আগে নতুন বীমা কোম্পানি আইনের লক্ষে একটি খসড়া গাইডলাইন তৈরি করে অর্থমন্ত্রণালয়। পরে খসড়া গাইডলাইনটি যাচাই বাছাই শেষে আইডিআরএ এর কাছে পাঠানো হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা কোম্পানির নিবন্ধন তথা প্রবিধানমালা চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আবারও মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। পরে আইনগত বিধি বিবেচনার জন্য প্রবিধানমালা এখন আইনমন্ত্রণালয়ে রয়েছে। সব কিছু পর্যালোচনা শেষে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে নতুন বীমা কোম্পানি অনুমোদনের জন্য আবেদন আহ্বান করা হবে।  খসড়ার বাকি শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, নতুন বীমা কোম্পানির উদ্যোক্তাদের ৬০ শতাংশ মূলধন পরিশোধ করা। আর বাকি ৪০ শতাংশ মূলধন লাইসেন্স পাওয়ার তিন বছরের মধ্যে সংগ্রহ করা। পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার এককভাবে ব্যক্তি, পরিবার বা কোনো কোম্পানির কাছে থাকতে পারবে না। তবে স্থানীয় ও বিদেশি উদ্যোক্তারা যৌথভাবে বীমা কোম্পানি করলে সে ক্ষেত্রে এ বিধি থেকে ছাড় পাওয়া যাবে। কোনো উদ্যোক্তা পরিচালক বর্তমানে এবং এর আগের পাঁচ বছরের মধ্যে ঋণখেলাপি হলে আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। দুজন স্বাধীন পরিচালকসহ বীমা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে ২০ জনের বেশি থাকতে পারবেন না।

বিশেষ প্রতিনিধি