প্রস্তুত স্মৃতিসৌধঃ পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

প্রস্তুত স্মৃতিসৌধঃ পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসকে ঘিরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ২৪ মার্চ (রোববার) শেষ হয়েছে গাছের পরিচর্যা, ঘষামাজা আর রং তুলির  কাজ। সেই সঙ্গে নেয়া হয়েছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মহড়া এবং যাবতীয় প্রস্তুতিও এরিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী তত্বাবধানে এই প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। এদিকে সেনা ও নৌ বাহিনীসহ সামরিক বাহিনীর সদস্যরা শেষ করেছেন তাদের মহড়া। পাশা পাশি সেনা বাহিনীর মোটর শুভা যাত্রা নিয়মিত মহড়া চলছে । ২৬ মার্চ (মঙ্গলবার) ৪২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। মহান মুক্তিযোদ্ধে নাম না জানা শহীদদের বধ্যভূমির ওপর ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে গণপূর্ত অধিদফরের অধীনে নির্মাণ করা হয় ১৫০ ফুট উচ্চতার মূলস্মৃতিসৌধ। এর স্থপতি ছিলেন সৈয়দ মাইনুল হোসেন। প্রতি বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও ১৬ ডিসিম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসী ছুটে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাগানের  পরিচর্যার সাথে সাথে শ্রমিকরা ধোঁয়া ঘষামাজার কাজ করছেন । দায়িত্বশীলরা ব্যস্ত নানা পরিকল্পনায় । ২৩-২৫ মার্চ পর্যন্ত সর্বসাধারণের  জন্য  প্রবেশ বন্ধ থাকবে । ২৬ মার্চ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীবর্গসহ গুরুত্বপূর্ণদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পরপরই সবার জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হবে । আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহীনির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দু’পাশ ও ব্রিজসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া সাভারের আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত  এবার ৫ স্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত রাখাসহ বাড়ানো হয়েছে সর্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারী। ১৯৮৮ সালে মূল স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ শেষে আর বড় ধরনের তেমন কিছু হয়নি । এর পর থেকে স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে ঘষামাজা, গাছের পরিচর্যা ও টুকটাক মেরামত কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে গণপূর্ত অধিদফতরের কার্যক্রম । গণপূর্ত অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ এ.ইউ.এম জাকী জানান- ইতোমধ্যে আমরা কিছু কাজ শুরু করেছি তার মধ্যে মিউজিয়াম ,অডিওবিজুয়্যাল বিল্ডিং ,ফাওয়ার সপ ও স্যুভেনিয়ন সপ পুলিশ ব্যারাক নির্মাণ কাজ চলিতেছে । তবে এরই মধ্যে স্মৃতিসৌধ এলাকায় বিশেষ ভাবে স্থাপিত স্পিকারের মাধ্যমে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সার্বক্ষণিক দেশাতœবোধক গান পরিবেশন শুরু হয়েছে । এর ফলে সৌধ এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ভাবগম্ভীর পরিবেশের।

নিজস্ব প্রতিনিধি