যশোরে বিএনপি অফিসে বোমা হামলাঃ আহত-১০

যশোরে বিএনপি অফিসে বোমা হামলাঃ আহত-১০

মিজানুর রহমান,যশোর প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ যশোরে হরতাল চলাকালে ব্যাপক সংঘর্ষ ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ ছিল নিরব দর্শক ছিলো। হরতাল বিরোধী মিছিলকারীরা শহরের বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ক্লিনিক ও হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। হামলাকারীদের হাত থেকে রেহায় পায়নি সংবাদপত্র অফিস ও সাংবাদিকদের যানবাহন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোয় ১২ টার দিকে শহরের কাজীপাড়া থেকে একটি হরতাল বিরোধী মিছিল শহরের দড়াটানা ভৈবর চত্বর অতিক্রম করার সময় মিছিলের পিছনে বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় মিছিলকারীরা ঘুরে ভৈরব চত্বরে জড়ো হয় এবং বৃষ্টির মতো বোমাবাজি শুরু হয়। পরে মিছিল থেকে বের হয়ে একটি গ্রুপ বোমার বিস্ফোরণ ঘটাতে ঘটাতে জেল রোডে ও অপর একটি গ্রুপ ঘোপ সেন্টাল রোডে ঢুকে হরতালকারীদের ধাওয়া করে। এসময় এসব মিছিল থেকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষনের ঘটনাও ঘটে। এক পর্যায়ে হরতালকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলে গোটা এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় হরতাল বিরোধীরা। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলা এই সংঘর্ষে পুলিশ ছিলো নিরব দর্শক। পুলিশের নিরবতায় হরতাল বিরোধীরা আরো বেশী বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এসময় হামলাকারীরা একতা ক্লিনিক, দড়াটানান  হসপিটাল, প্রাইম ডায়াগস্টিক সেন্টার, বাগাট মিস্টান্ন ভান্ডার, গ্রীণহার্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, দৈনিক সমকাল পত্রিকা অফিসের সাইন বোড, এজাহার আলরি পেপার হাউজসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। ভাংচুর করে দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার চীফ ফটো সাংবাদিক হানিফ ডাকুয়া ও দৈনিক বনিক বার্তা ও স্পন্দন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল কাদেরের মটর সাইকেল। এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও ফটো সাংবাদিক হামলাকারীদের হাতে লাঞ্ছিত হন। এদিকে ঘটনার এক পর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এদিকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কালো ও সাদা কাপড়ে মুখ বাঁধা এক দল যুবক শহরের লালদিঘি পাড়ে অবস্থিত জেলা বিএনপির কার্যালয়ে বোমা হামলা করে। বর্তমানে শহরে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। দড়াটানা ভৈরব চত্বর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও আর্মড ব্যাটালিয়নের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে হরতাল চলাকালে পিকেটিংয়ের অভিযোগে পুলিশ তিন যুবককে আটক করেছে। তারা হলেন মনিরামপুরের হাজরাকাটি গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে শফিক এবং শহরতলির পুলেরহাট এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান, সোহরাব হোসেনের ছেলে জামাল ।

এসবিডি নিউজ ডেস্ক