কৃষিতে চার বছরে ভুর্তকি ৩০ হাজার ১৮১ কোটি টাকা

কৃষিতে চার বছরে ভুর্তকি ৩০ হাজার ১৮১ কোটি টাকা

কাজী মাহফুজুর রহমান শুভ,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ সংসদে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নিয়ে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মার্চ পর্যন্ত কৃষিখাতে ভুর্তকি প্রদান করেছে ৩০ হাজার ১৮১ কোটি টাকা। এছাড়া কৃষি খাতে (রাসায়নিক সার) তথা ইউরিয়া ও নন-ইউরিয়া সারে (টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি)’তে ওই পরিমাণ ভুর্তকি প্রদান করা হয় বলে জানান। ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদের একমাত্র স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফজলুল আজিমের এক তারকা চিহিৃত প্রশ্নের জবাবে তিনি সংসদকে এসব তথ্য জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বছরওয়ারী ভুর্তকির পরিমাণ হচ্ছে, -২০০৮-০৯ অর্থ-বছরে ইউরিয়ায় ৪ হাজার ২৩৭ দশমিক ১৪ টাকা, নন-ইউরিয়ায় ৮৩৯ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা, ২০০৯-১০ অর্থ-বছরে ইউরিয়ায় ১ হাজার ৯২৮ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা, নন-ইউরিয়ায় ২ হাজার একশ দশমিক ২১ কোটি টাকা, ২০১০-১১ অর্থ-বছরে সালে ইউরিয়ায় ২ হাজার ৫৯৭ দশমিক ২৫ কোটি টাকা, নন-ইউরিয়ায় ৩ হাজার ৩৯ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা, ২০১১-১২ অর্থ-বছরে ইউরিয়ায় ২ হাজার ৩২৮ দশমিক ১৪ কোটি টাকা, নন-ইউরিয়ায় ৪ হাজার ৬২৪ দশমিক ২৪ কোটি টাকা ও ২০১২-১৩ অর্থ-বছরে ইউরিয়ায় ৩ হাজার ৩৩৮ দশমিক ৪৯ কোটি টাকা, নন-ইউরিয়ায় ৫ হাজার ৯৭ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা। এছাড়াও বিদুৎ, চিনি ও ডিজেল ও অন্যান্য খাতে প্রদত্ত ভর্তুকির বছরওয়ারী পরিসংখ্যান হচ্ছে, – ২০০৮-০৯ অর্থ-বছরে বিদ্যুৎখাতে ৯৪ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা, চিনিতে ৭ দশমিক ২৩ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা, ডিজেলে ২৪৮ কোটি টাকা,  ২০০৯-১০ অর্থ-বছরে বিদ্যুৎতে ৮১ দশমিক ০৩৯ কোটি টাকা, চিনিতে ২৮ দশমিক ৪শ কোটি টাকা, ডিজেলে ৭৫০ কোটি টাকা ও অন্যান্যে ৩৩ দশমিক ৬৪০ কোটি টাকা, ২০১০-১১ অর্থ-বছরে ৫৫ দশমিক ১ হাজার ৬৩ কোটি টাকা ও অন্যান্যে ৭ দশমিক ৮ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা, ২০১১-১২ অর্থ-বছরে বিদ্যুৎতে ৪০ দশমিক ৩ হাজার ৭৮ কোটি টাকা ও অনান্যে ৭ দশমিক ২ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা এবং ২০১২-১৩ অর্থ-বছরে বিদ্যুৎখাতে ২৩ দশমিক ১৪ লাখ ২১ হাজার ৪৮১ কোটি টাকাসহ মোট ১ হাজার ৩৭৬ দশমিক ৭৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা। স্বতন্ত্র সংসদ আজিমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দানাদার ফসলের উৎপাদন কমেছে এটা ঠিক। তবে ধানের পাশাপাশি ভূট্রো ও গমের উৎপাদন গণনায় আনলে উৎপাদন কমেনি, বরং বেড়েছে। কারণ আগামী ২২ মাসের মধ্যে বিদেশ থেকে কোন চাল আমদানি করা হয়নি। উল্টো সুগন্ধি চাল রপ্তানি করা হয়েছে। তবে আমরা কমিশন ভাগের আশায় এই কথা বললো না যে, দেশে খাদ্য ঘাটতি থাকা ভালো। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম শাহিদা তারেখ দীপ্তির অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে চাণ যোগ্য ভুমির পরিমান ৮৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৩০ হেক্টর। এর মধ্যে গত অর্থ বছরে (২০১১-১২) ৩৬৮ দশমিক ৩৯ লক্ষ মেট্রকটন খাদ্য শস্য (চাল, গম ও ভুট্টা) উৎপাদন করতে সক্ষম হয়।

নিজস্ব প্রতিনিধি

Related articles