ইজাজঃ মানবতা এবং বীরত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী

ইজাজঃ মানবতা এবং বীরত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী

সৈয়দ মাহবুবুল আলমঃ অঝর কান্নায় প্রকৃতি বিদায় দিল ইজাজকে সামরিক বাহিনী জানাল রাষ্ট্রীয় সম্মান জাতীয় পাতায় আচ্ছাদিত ইজাজের কফিন রাখা ছিল সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ছিল, কিন্তু আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি এলো ইজাজ-র জানাজার ঠিক পূর্ব মহুর্তে। এ যেন প্রকৃতির অঝর কান্না। কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁর জানাজার শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বনানী কবরস্থানে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী পক্ষে সামরিক সচিব এবং পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান, বিমানবাহিনীর প্রধান ও ঢাকা জেলা প্রশাসক পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সামরিক বাহিনী একটি দল হলি ফায়ারের মাধ্যমে সামরিক কায়দায় সম্মান জানায়। তারপর বিউগলের সুরে অস্ত্রকে অবনত করে সামরিক বাহিনীর দলটি তাকে সম্মান জানায়। অনুষ্ঠানিকতার শেষে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। মোনাজাতের পর নিহত ইজাজ কায়কোবাদের স্ত্রীর হাতে সেনাবাহিনীর প্রধানের জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। ইজাজ একজন বেসামরিক ব্যক্তি, এ প্রজন্মের তরুন। রাষ্ট্রের কোন পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি নয়। তারপরও মানুষের প্রতি ভালবাসা আর ত্যাগের কারণে তাঁকে এ বিরল সম্মানে ভূষিত করল রাষ্ট্র। সাধারণ একজন নাগরিক হয়ে অর্জন করল রাষ্ট্রের সম্মান। রাষ্ট্রের এ সম্মান আমাদের নিজেদের আত্মমর্যাদা বৃদ্ধির জন্য। এ সম্মান মানবতার প্রতি সম্মান। এ সম্মান প্রজন্মকে মানবতা শেখাবে। প্রেরণা দেবে মানুষের জন্য ত্যাগের। বীরত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল ইজাজ। আমি গর্বিত, আমি এমন দেশের সন্তান। যে দেশ ইজাজের মতো মানবতবাদী বীরের জন্ম দেয়। যে দেশের মাটি ত্যাগ আর সেবা করতে শেখায়। নিজের প্রাণ দিয়ে মানুষকে বাঁচিয়ে গেলেন। মানুষ হিসেবে মানবতার কাজ করতে শেখালেন। মৃত্যু যেন আপনার মতো বীরত্বের আর সম্মানের হয়। ইজাজ উদ্দিন আহম্মেদ কায়কোবাদ আপনি শান্তিতে থাকুন।

সৈয়দ মাহবুবুল আলমঃ মানবাধিকার কর্মী।।

অতিথি লেখক