রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবসঃ দুর্যোগ-শান্তিতে,সর্বদা একসাথে থাকার সংকল্প গ্রহণ করতে হবে

রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবসঃ দুর্যোগ-শান্তিতে,সর্বদা একসাথে থাকার সংকল্প গ্রহণ করতে হবে

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভঃ

সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষ যা করতে পারে পৃথিবীর অন্য কোন প্রাণীর পক্ষে তা করা সম্ভব নয়। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক জ্ঞানীগুণী সমাজসেবক মহৎপ্রাণ মানুষ জন্মগ্রহণ করেছেন। মহাত্মা জ্বীন হেনরী ডুনান্ট সে সব শ্রেষ্ঠ মানব সন্তানের একজন। তাঁর জন্ম হয়েছিল ১৮২৮ সালে ৮ মে। ১৯১০ সালে তার মৃত্যুর পর হতে সারা বিশ্ব ৮ মে তাঁর জন্মদিনকে সম্মান দেখিয়ে ‘বিশ্ব রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক,মানব হিতৈষী ও শ্রেষ্ঠ মানব। সেই জন্যই তিনি পেয়েছিলেন শান্তিতে প্রথম নোবেল পুরস্কার। তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আজ কোটি কোটি মানব সন্তান বিপন্ন মানবতার সেবায় নিয়োজিত। তিনি জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবীর সকল মানুষকে এক পতাকাতলে একই কর্মসূচিতে একত্রিত করেছিলেন। সাম্য মৈত্রির বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন মানব সন্তানদের। সেই সংগঠনের নাম রেডক্রিসেন্ট। রেড ক্রিসেন্টের জন্ম এক হৃদয় বিদারক ঘটনার মধ্য দিয়ে।

১৮৫৯ সালের ২৪ শে জুন। তৎকালীন ইউরোপের দুই বৃহৎ শক্তি ফ্রান্স ও অষ্ট্রিয়ার মধ্যে ইতালীর এক পল্লী প্রান্তর সলফেরিনোতে তুমুল যুদ্ধ হয়। এটি লফেরিনো যুদ্ধ নামে পরিচিত। ইতালির উত্তরাঞ্চলের পল্লী প্রান্তর সলফেরিনো নামক স্থানে ফ্রান্স ও অষ্ট্রিয়ার মধ্যে মানব ইতিহাসের এক ভয়াবহ ও মারাত্মক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত ১৬ ঘণ্টাব্যাপী এই যুদ্ধ চলে। যুদ্ধে হতাহত হয় প্রায় ৪০,০০০ সৈন্য। আহত সৈন্যরা বিনা চিকিৎসায় যুদ্ধক্ষেত্রেই উন্মুক্ত প্রান্তরে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন। সেই সময় সুইজারল্যান্ডের এক যুবক জীন হেনরী ডুনান্ট ব্যবসা সংক্রান্ত ব্যাপারে ফ্রান্সে তৃতীয় নেপোলিয়নের সাথে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি যুদ্ধ পরবর্তী মর্মান্তিক,করুণ ও ভয়াবহ দৃশ্য দেখে ব্যথিত হন এবং আশপাশের গ্রামবাসীদের ডেকে এনে আহতদের সেবা-শুশ্রুষা করেন। এরাই রেডক্রসের প্রথম স্বেচ্ছাসেবক যাদের অধিকাংশই ছিল নারী। আর সেই নারীদের দয়া-ভালোবাসার হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রেডক্রস। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশে রেডক্রিসেন্ট হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে। এর আগে ডুনান্ট সলফেরিনো যুদ্ধের ভয়াবহ ও বিভীষিকাময় স্মৃতি ও তার প্রতিকারের জন্য ১৮৬২ সালে ‘এ মেমোরি অফ সলফেরিনো’ নামে একটি বই রচনা করেন। এই বইয়ের মাধ্যমে তিনি বিশ্ব বিবেকের কাছে এক মানবিক আবেদন জানান। তার বইটি বিশ্বের মানুষের মাঝে বিরাট আলোড়ন সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়। বইটির মূল কথা ছিল ‘আমরা কি পারি না প্রতিটি দেশে এমন একটি সেবামূলক সংস্থা গঠন করতে, যারা শত্রু-মিত্র নির্বিশেষে আহতদের সেবা করবে।’

১৮৬৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। জীন হেনরী ডুনান্ট ৪ জন জেনেভাবাসীকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন, যা ‘কমিটি অব ফাইভ’ নামে পরিচিত। পরবর্তীতে এই কমিটির নাম পরিবর্তিত হয়ে ‘আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি বা আই সি আর সি (ওঈজঈ) হয়। একই বছর ২৬ অক্টোবর প্রথমবারের মতো এ কমিটি ১৬টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে জেনেভায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন আহ্বান করে। সম্মেলনে ডুনান্টের মহতী প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা ও গৃহীত হয় এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে রেডক্রস জন্মলাভ করে।

জীন হেনরী ডুনান্ট ১৮২৮ সালের ৮ মে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরের রু ভারদেইনি নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করে। জীন হেনরী ডুনান্ট ১৯০১ সালে ডিসেম্বর মাসে প্রথম নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি ১৯১০ সালে ৩০ অক্টোবর ৮২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। বিশ্ব রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস পালিত হওয়ার ইতিহাস থেকে জানা যায়, যেহেতু জীন হেনরী ডুনান্ট রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনি ৮ মে জন্মগ্রহণ করেন তাই ডুনান্টের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য প্রতিবছর ৮ মে বিশ্ব রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। ১৯৬৫ সালের অক্টোবরে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত ২০তম আন্তর্জাতিক রেডক্রস সম্মেলনে রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের মূলনীতিগুলো সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। মূলনীতির বিষয়ে কথা আসলে জানা যায়, আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের মূলনীতি ৭টি। মূলনীতিগুলো হলো মানবতা, পক্ষপাতহীনতা, নিরপেক্ষতা, স্বাধীনতা, স্বেচ্ছামূলক সেবা, একতা, সার্বজনীনতা।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, মহাত্মা জ্বীন হেনরী ডুনান্ট ও তার চারজন সহকর্মী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমর্থন ও সহায়তার আশায় ১৮৬৩ সালের ২৬ অক্টোবর একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আহবান করেন। মোট ১৬ টি দেশের প্রতিনিধি উক্ত সম্মেলনে যোগদান করেন ও জ্বীন হেনরী ডুনান্টের প্রস্তাব অনুযায়ী রেডক্রস নামে একটি আন্তর্জাতিক সেবামূলক নিরপেক্ষ সংস্থা গঠিত হয়। বর্তমান বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক মানবসেবামূলক সংস্থা রেডক্রস এমনি ঘটনাবলীর মধ্যে জন্ম লাভ করে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর পাকিস্তান রেডক্রস সোসাইটির পূর্ব পাকিস্তান শাখা বাংলাদেশের জাতীয় রেডক্রস সোসাইটি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৮৮ সালের ৪ এপ্রিল হতে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ বলে বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটির নাম পরিবর্তিত হয়ে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি হয়। বাংলাদেশের প্রতিটি প্রশাসনিক জেলায় ৬৪টি ও ৪টি সিটি করপোরেশনে ৪টি সর্বমোট ৬৮টি ইউনিট রয়েছে যার মাধ্যমে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি দেশব্যাপী নানাবিধ জনসেবা ও কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। মানবতার কল্যাণে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি স্বাভাবিক সময়ে ও প্রতিটি দুর্যোগে ৬৮টি ইউনিট এর স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মকর্তার সহযোগিতায় বিপন্ন মানবতার কল্যাণে সোসাইটির ৫টি বিভাগের আওতাধীন ২৬টি অধিদপ্তরের মাধ্যমে গণমানুষের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত। যুদ্ধ ক্ষেত্রে আহতদের সেবা ও নিহতদের সৎকার করার উদ্দেশ্যে রেডক্রসের জন্ম  হলেও এর সেবা ও কর্মপরিধি বর্তমানে ব্যাপক এবং বিস্তৃত। সেবার মনোভাব নিয়ে প্রতিষ্ঠিত রেড ক্রিসেন্ট বন্যা, নদী ভাঙ্গন, ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, জলোচ্ছ্বাস, অগ্নিকান্ড, প্রচন্ড শীত প্রভৃতি দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সামগ্রী, ঔষধপত্র, বস্ত্র, অস্থায়ী সাশ্রয়সামগ্রী প্রদান এবং উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা কার্যক্রম,পরিচালনা করে থাকে। এমনকি বিধ্বস্ত এলাকার গৃহহীনদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় গৃহ নির্মাণ কার্যক্রমও পরিচালনা করে। রেড ক্রিসেন্ট শুধু  যুদ্ধকালীন সময়ে নয় শান্তিকালীন সময়েও কাজ করে থাকে। স্বাস্থ্য সেবায় কর্মসূচির অধীন এদেশের গণমানুষের সেবায় ২টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ৫টি স্বয়ংসম্পূর্ণ অত্যাধুনিক হাসপাতালসহ ৫টি মাতৃসদন হাসপাতাল, ৬১টি গ্রামীন মাতৃসদন কেন্দ্র, ৩টি আউটডোর ক্লিনিক, ২টি চক্ষু ক্লিনিক, ৬টি রক্ত কেন্দ্র, ১টি নার্সিং স্কুল, ৩টি ধাত্রী বিদ্যা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, এইচ আইভি/ এইডস ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস এর সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা,জরুরি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও রয়েছে থ্যালাসেমিয়া রিসার্চ সেন্টার, ডেন্টালসহ আর্তমানবতার সেবায় চিকিৎসার অন্যান্য দিক। সাতটি মূলনীতি নিয়ে রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট কাজ করে। স্কুল কলেজে অধ্যয়নরত ছাত্র ছাত্রী বা যুব শ্রেণীর প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সোসাইটির যুব রেড ক্রিসেন্ট কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সোসাইটির অধিকাংশ কার্যক্রম স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। প্রশিক্ষিত যুব স্বেচ্ছাসেবকগণই প্রতিটি দুর্যোগে গণমানুষের  সেবায় আন্তরিক ও নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জুনিয়র রেড ক্রিসেন্ট কার্যক্রম চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৩টি বিদ্যালয়ে প্রাথমিক জুনিয়র রেড ক্রিসেন্ট কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রথম অবস্থায় ২০টি কলেজকে যুব রেড ক্রিসেন্টের আওতায় আনা হয় পরে এই সংখ্যা বাড়তে থাকে। ১৯৮৩ সালে নামের জটিলতা পরিহার করার উদ্দেশ্যে এবং আন্তর্জাতিকভাবে নামের সামঞ্জস্য রাখার লক্ষ্যে রেড ক্রিসেন্ট এর যুব সংগঠনের নাম রাখা হয় যুব রেড ক্রিসেন্টে। জুনিয়র ও যুব রেড ক্রিসেন্ট একত্রিত বিদ্যালয় ও কলেজ পর্যায়ের সকল সদস্যদের সমন্বয়ে এই নাম রাখা হয়। যুব রেড ক্রিসেন্ট এর লক্ষ, উদ্দেশ্য, মূলমন্ত্র আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। “কাজের মাধ্যমে শিক্ষা” এটাই মূলতঃ যুব রেড ক্রিসেন্ট এর লক্ষ্য। যুব রেড ক্রিসেন্ট এর মূল মন্ত্র জনসেবা। পাওয়ার শিক্ষাই তাদের কাছে বড় নয় প্রয়োজনে সেবায় তারা নিজেকে বিলিয়ে দেয়। ১৯৭৫ সালে বেলগ্রেডে রেড ক্রস সম্মেলনে সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক যুব রেড ক্রস/যুব রেড ক্রিসেন্ট এর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ৪টি। সেগুলো হল জীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষা, সেবা ও সংহতি, আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব, সমঝোতা ও শান্তির অন্বেষণে শিক্ষা এবং রেড ক্রস/রেড ক্রিসেন্ট মূলনীতি ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বিস্তার। সারা দেশে ১,৫০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যুব কার্যক্রম চালু রয়েছে এবং এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১,৫০,০০০জন। চট্টগ্রামে ৩৩টি স্কুল কলেজ যুব রেড ক্রিসেন্ট এর আওতাধীন রয়েছে। এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৭০০ জন। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে যুব রেডক্রিসেন্ট বিবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ, যেমন রেড ক্রস/ক্রিসেন্ট মৌলিক প্রশিক্ষণ, প্রথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ, উদ্ধার ও সাড়া প্রদান, নেতৃত্ব উন্নয়ন, মানবিক মূল্যবোধ ইত্যাদি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান, পুরনো বই, কাপড় সংগ্রহ ও বিতরণ, ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র পরিচালনা, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালনসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এমন এক বাস্তবতায় আজ যুবকদের সুযোগ রয়েছে শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষার অংশ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। বর্তমান সরকার ২০১১ সাল থেকে যুব কার্যক্রমকে শিক্ষা হিসেবে ঘোষণা করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে। অসহায় ও দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারছে কয়জন। ক্লাসের অবসরে হয়ত আড্ডা দিয়ে অতিরিক্ত সময়টুকু নষ্ট করে ফেলে অনেকে। কিন্তু একটু সচেতন হলে আমরা পারি অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে। আমাদের সহযোগিতার কারণে হয়ত কিছু অসহায় মানুষ তার পথ চলার রাস্তা খুঁজে পাবে। একই সাথে নিজের আত্মতৃপ্তি বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে ভবিষ্যতের জন্য। স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের সুযোগ রয়েছে যুব রেড ক্রিসেন্ট এর মাধ্যমে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে। শুধু ছাত্র ছাত্রী নয় যে কেউ পারে মানবতার কল্যাণে কাজ করতে তার জন্য রেড ক্রিসেন্টের দরজা খোলা সব সময়।

মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য। মানবসেবাই বড় ধর্ম তাই আসুন, মানবের কল্যাণে, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে রেড ক্রিসেন্ট এর পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হই। সকলের পদযাত্রা হোক মানবতার কল্যাণে সত্য, সুন্দর ও মানবতার জয়গানে। এগিয়ে চলি “দুর্যোগ-শান্তিতে,সর্বদা একসাথে।”

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভঃ প্রধান সম্পাদক,এসবিডি নিউজ24 ডট কম।।

প্রধান সম্পাদক