হরতাল আতঙ্কে জনগণ!
বিশেষ প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ হরতালে ভাঙচুর ও গাড়ি পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির পাঁচ নেতাকে ১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ৮ দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। দুটি মামলায় তাঁদের এই রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি জানিয়েছে, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং শিমুল বিশ্বাসকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে গত শুক্রবার রাতে। পরদিন শনিবার, তাঁদের মতিঝিল থানায় দায়ের করা হরতালে ভাঙচুর এবং গাড়ি পোড়ানোর দুটি পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ঐ দিন বিকেলে তাঁদের আদালতে হাজির করে প্রতিটি মামলায় ১০ দিন করে প্রত্যেকের মোট ২০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশ আদালতে মামলার তদন্ত সংক্রান্ত কাগজ-পত্র উত্থাপন করতে না পরায়, তাঁদের রিমান্ড শুনানি নির্ধারণ করা হয় বৃহস্পতিবার। এছাড়া, তাঁদের জামিন আবেদন ‘না মঞ্জুর’ করে পাঠানো হয় কারাগারে। বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম রেজাউল করিমের আদালতে রিমান্ডের শুনানি হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ দাবি করেন যে, ২৪ সেপ্টেম্বর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনে এবং ৫ নভেম্বর কমলাপুর বাজার রোডে হরতালের সময় বিএনপির এই পাঁচ নেতার পরিকল্পনা ও নির্দেশে গাড়িতে আগুন, ভাঙচুর এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশের ওপরও হামলা চালানো হয়। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চারিতার্থ করতেই বিএনপির এই নেতাদের মামলায় জড়ানো হয়েছে। পুলিশের কাছে কোনো প্রমাণ নেই যে তাঁরা ঐ দুটি ঘটনার নির্দেশদাতা। এমনকি, এজাহারেও তাঁদের নাম নেই। আদালত দুই পক্ষের শুনানি শেষে প্রত্যেককে দুটি মামলায় মোট ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। বিএনপির পাঁচ নেতা এখন কারাগারে আছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের কারাগার থেকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসবাদ করা হবে। এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবীর রিজভী বলেন, সরকারের নির্দেশেই বিএনপির পাঁচ নেতার রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। সরকার আদালতকে বিরোধী দলীয় নেতাদের দমন ও নির্যাতনে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, সরকার রাজনৈতিক সমঝোতার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আন্দোলনের মাধ্যমেই এর জবাব দেয়া হবে। জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে আরো টানা তিন দিন হরতাল পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির নেতেৃত্বে বিরোধী ১৮ দল। তবে বিএনপির পাঁচ শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার পর, অন্যান্য নেতাদের এখন আর প্রকাশ্যে বা হরতালে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। বাইরে থাকা নেতাদের ৫ দিন পর বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালায়ে দেখা যায়। কারণ, খালেদা জিয়া বুধবার রাতে তাঁর কার্যালয়ে যান।