সহিংস এবং অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশঃ বিবিসি
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্কঃ আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সহিংস এবং অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। সহিংস আন্দোলন এবং অবরোধে সম্প্রতি দেশ অচল হয়ে পড়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন মন্তব্য করা হয়েছে। ৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বিবিসির অনলাইনে প্রকাশিত ‘ইলেকশন ডিভিশনস পুশ বাংলাদেশ টুয়ার্ডস দ্যা ব্রিংক’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন মাসের জন্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার আদালতের মাধ্যমে ২০১০ সালে এ ব্যবস্থা বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে।
এতে বলা হয়, বিরোধী দল বিএনপি ও তার প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। তাদের দাবি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে কারচুপি হবে। ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা নতুন মাত্রা পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে হরতাল, অবরোধে দেশটি অচল হয়ে পড়েছে। এ ধরনের অবস্থা দেশটিকে খাদের কিনারে নিয়ে যেতে পারে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দেশটিতে জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করা হতে পারে।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক সেনা কর্মকর্তা, কূটনীতিক এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, “এই ধরনের সংকটের জন্য দায়ী সরকার। কারণ সরকার একটি অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া চেষ্টা করেছে।” প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনে সরকার অনড় বলেই দেখা যাচ্ছে, যা সহিংসতা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। একতরফা নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থাসমূহের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, বিএনপি ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে উদ্বিগ্ন উন্নয়ন সহযোগী আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ ধরনের নির্বাচন পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে তুলবে। জরুরি অবস্থা জারি হলে সেনাবাহিনী কী ভূমিকা নেবে তা সবচেয়ে বড় বিষয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা কি ঐক্যবদ্ধ এবং শেখ হাসিনাকে সমর্থন করবেন এখনকার মতো। যদি নির্বাচন রক্তাক্ত সহিংসতায় রূপ নেয় কিংবা যদি জরুরি অবস্থা বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয় তাহলে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের বিষয়টি জোরালো হয়ে উঠবে।