দেশ জুড়ে সহিংসতা
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ১৮ দলীয় জোট নির্বাচন প্রতিহত কর্মসূচি পালনে দেশজুড়ে সহিংসতার আগুন জ্বলছে। জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে ভোট কেন্দ্রগুলো। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ককটেল ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে অস্ত্র ও ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
চট্টপ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় তিনটি কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম নেয়ার সময় পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিনিয়ে নিয়ে আগুন দিয়েছে স্থানীয় জনতা। এসময় জনতার হামলায় ৩ পুলিশ আহত হয়েছে। পুলিশের কাছ থেকে একটি অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়া হয় বলে জানা গেলেও পুলিশ তা স্বীকার করেনি। ৪ জানুয়ারী (শনিবার) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার ছদহা ইউনিয়নের মোহাম্মদিয়া মাদ্রাসা, দক্ষিণ চরতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ছনখোলা চুড়ামনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এলাকায় এসব ঘটনা ঘটেছে। এসময় মোহাম্মদিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে হামলায় ৩ পুলিশ আহত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে মোহাম্মদিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে পৌঁছালে ৪০/৫০ জনের একদল বিক্ষুব্ধ জনতা অতর্কিত পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়। পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মারধর করে তাদের কাছ থেকে ব্যালট বাক্সও অন্যান্য সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। একই সময়ে দক্ষিণ চরতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্র ও চুড়ামনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভোটের সরঞ্জাম ছিনিয়ে নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা জানান, বিক্ষুব্ধ জনতা সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েকটি কেন্দ্র দখল করে রেখে বিক্ষোভ করছে। সাতকানিয়া থানার ওসি খালিদ হোসেন নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিনিয়ে নিয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা স্বীকার করলেও পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনা তার জানানেই বলে তিনি জানান। রোববারের একতরফা জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে দেশের ৩৮ জেলায় ১৪৪টি ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে ভস্মীভূত হয় এসব কেন্দ্র। আগুনে পুড়ে যাওয়া এসব কেন্দ্রের সবগুলোই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনটির আংশিক আবার কোনটির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। যেসব জেলার এক বা একাধিক ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, ফেনী, নরসিংদী, নীলফামারী, বরিশাল, ঝিনাইদহ, সিরাজগঞ্জ, ময়মনসিংহ, লক্ষ্মীপুর, রংপুর, কুষ্টিয়া, নারায়ণগঞ্জ, নাটোর, খুলনা, রাজশাহী, বগুড়া, ভোলা, মানিকগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, বাগেরহাট, পিরোজপুর, যশোর, পাবনা, পটুয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরগুনা, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, মৌলভীবাজার, সিলেট, কুড়িগ্রাম, শেরপুর ও কিশোরগঞ্জসহ আরো বেশকয়েকটি জেলা রয়েছে।
এদিকে, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিনিয়ে নিয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সোয়া ৪টার দিকে উপজেলার ইদুলপুর ইউনিয়নের কুঞ্জমহিপুরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে অতিরিক্তি পুলিশ ও যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে দুই জন পুলিশ সদস্য ও কয়েকজন আনসার ব্যালট পেপার ও নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিয়ে ভটভটিতে (স্থানীয় যানবাহন) করে উপজেলা সদর থেকে কুঞ্জমহিপুর ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। পথে কুঞ্জমহিপুরে দুর্বৃত্তরা সেগুলো কেড়ে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম, খবর পাওয়ার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। এছাড়া সেখানে যৌথবাহিনীর সদস্যরাও পৌঁছেছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
অপরদিকে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে আগুন দেয়ার ঘটনার পর এবার একটি ভোট কেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা মানুষের মল ঢেলে দিয়ে কেন্দ্রটিকে ভোট গ্রহণের অনুপযোগী করে দিয়েছে। শনিবার ভোর রাতে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের রহমত নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল করিম জানান, ভোরের দিকে কে বা কারা রহমত নগরের একটি কেন্দ্রে মানুষের মলমূত্র ছিটিয়ে দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছে বলে এলাকার লোকজন আমাকে জানিয়েছে। সকালে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এরপর প্রশাসন স্থানীয়দের সহযোগিতায় কেন্দ্রটি পরিষ্কার করেছে। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান বলেন, ভোট কেন্দ্রে পরিবেশ নষ্ট করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ বলেছেন, দশম সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সারাদেশের ভোটকেন্দ্রগুলোতে যে সহিংসতা চলছে তা নিয়ে আমরা ও দেশবাসী উদ্বিগ্ন। তবে তিনি বলেন, এ নির্বাচন যথেষ্ট স্বচ্ছ হবে। তা রোববার দেশবাসী জানতে পারবে।
উল্লেখ্য, ১৪৭ আসনে ভোট হচ্ছে। ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হয়েছেন। ভোটার সংখ্যা ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ জন।
এদিকে, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিনিয়ে নিয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সোয়া ৪টার দিকে উপজেলার ইদুলপুর ইউনিয়নের কুঞ্জমহিপুরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে অতিরিক্তি পুলিশ ও যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে দুই জন পুলিশ সদস্য ও কয়েকজন আনসার ব্যালট পেপার ও নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিয়ে ভটভটিতে (স্থানীয় যানবাহন) করে উপজেলা সদর থেকে কুঞ্জমহিপুর ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। পথে কুঞ্জমহিপুরে দুর্বৃত্তরা সেগুলো কেড়ে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম, খবর পাওয়ার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। এছাড়া সেখানে যৌথবাহিনীর সদস্যরাও পৌঁছেছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
অপরদিকে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে আগুন দেয়ার ঘটনার পর এবার একটি ভোট কেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা মানুষের মল ঢেলে দিয়ে কেন্দ্রটিকে ভোট গ্রহণের অনুপযোগী করে দিয়েছে। শনিবার ভোর রাতে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের রহমত নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল করিম জানান, ভোরের দিকে কে বা কারা রহমত নগরের একটি কেন্দ্রে মানুষের মলমূত্র ছিটিয়ে দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছে বলে এলাকার লোকজন আমাকে জানিয়েছে। সকালে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এরপর প্রশাসন স্থানীয়দের সহযোগিতায় কেন্দ্রটি পরিষ্কার করেছে। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান বলেন, ভোট কেন্দ্রে পরিবেশ নষ্ট করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ বলেছেন, দশম সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সারাদেশের ভোটকেন্দ্রগুলোতে যে সহিংসতা চলছে তা নিয়ে আমরা ও দেশবাসী উদ্বিগ্ন। তবে তিনি বলেন, এ নির্বাচন যথেষ্ট স্বচ্ছ হবে। তা রোববার দেশবাসী জানতে পারবে।
উল্লেখ্য, ১৪৭ আসনে ভোট হচ্ছে। ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হয়েছেন। ভোটার সংখ্যা ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ জন।