আফগানিস্তানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ক্ষমতার হস্তান্তর হতে যাচ্ছে
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্কঃ আফগানিস্তানের মানুষ নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল সংখ্যায় ভোট দিয়েছে। এই প্রথম সেখানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ক্ষমতার হস্তান্তর হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। নির্বাচন বানচালের জন্য তালেবানের হুমকি এবং সহিংসতার আশঙ্কা, সেইসঙ্গে তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বহু মানুষ ভোট দিয়েছেন। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই আফগান ভোটাররা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিলো। ভোটারদের লাইন কোথাও কোথাও এতো লম্বা ছিলো যে নির্বাচন কমিশনকে ভোট-গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়াতে হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০০৯ সালের নির্বাচনের চেয়েও এবার বেশি ভোট পড়তে পারে।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ভোট দেয়ার পর বলেছেন, আজকের দিনটা হচ্ছে আফগান জনগণের। আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তালেবান জঙ্গিদের হুমকির কারণে আজ ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কা করা হয়েছিলো। কিন্তু সেরকম কিছু হয়নি। তবে হামলার আশঙ্কায় এক হাজারের মতো ভোট কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয় যা মোট কেন্দ্রের সাত ভাগের একভাগ। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, সব মিলিয়ে ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশেই ভোট দিয়েছে। শহরে নির্বিঘ্নে ভোট হলেও শহরের বাইরে থেকে কিছু কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। সহিংসতার চেয়েও বড়ো চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, নির্বাচনে কারচুপি ঠেকানো। দক্ষিণের কান্দাহার থেকে খবর পাওয়া গেছে যে সেখানে পুলিশ ভোটার ও নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের ভোটকেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট আটজন প্রার্থী। তৃতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়ে সাংবিধানিক বাধার কারণে প্রার্থী হতে পারেননি হামিদ কারজাই। কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে, সবচে বেশি ভোট পাওয়া দু’জন প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এবছরের শেষের দিকে নেটোর সকল সৈন্য প্রত্যাহারের আগে আফগানিস্তানে এটাই সবশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিশ্লেষকরা বলছেন, তালেবানকে সামাল দেওয়াই হবে নতুন প্রেসিডেন্টের জন্যে সবচে বড়ো চ্যালেঞ্জ।
সূত্র: বিবিসি বাংলা।