সাত খুনের ঘটনাঃ দেশের সকল সীমান্তে রেড অ্যালার্ট জারি

সাত খুনের ঘটনাঃ দেশের সকল সীমান্তে রেড অ্যালার্ট জারি

সৌরভ চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ নারায়ণগঞ্জের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত খুনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য বিমানবন্দরসহ ভারত-বাংলাদেশের সব সীমান্তে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিমানবন্দর ও সীমান্তে দায়িত্বরত পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা কড়া নজর রাখছেন। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মূল হোতা নূর হোসেনসহ অন্য আসামিরা যাতে পাসপোর্টের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন অতিক্রম করে বা অবৈধভাবে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে ভারতে যেতে না পারে, সে জন্য বিজিবির জওয়ানদের সর্তক করা হয়েছে। বেনাপোল চেকপোস্টে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের এজাহারভুক্ত কোনো আসামি বা তাদের সহযোগী যেন ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে নির্দেশ এসেছে। এ কারণে গোটা ইমিগ্রেশন এলাকায় সতর্কতা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি পাসপোর্টধারীকে চেহারার সঙ্গে ছবি মিলিয়ে তবে ভারতে ঢোকার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। ইমিগ্রেশন ছাড়াও নো-ম্যান্সল্যান্ড ও আশপাশে সতর্ক রয়েছে পুলিশ। সীমান্তের শার্শা ও পোর্ট থানা পুলিশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে অতিরিক্ত সতর্কতার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বিজিবির ২৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মতিউর রহমান বলেন, “নারায়ণগঞ্জের হত্যাকাণ্ডের পর সতর্ক থাকার জন্য আমাকে কেউ কোনো নির্দেশ দেয়নি। তবে আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সীমান্তের প্রতিটি বিওপির (বিজিবি ক্যাম্প) সদস্যদের বিশেষ সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’

বেনাপোলের মতো দেশের অন্যান্য সীমান্তেও রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যায় একে একে ভেসে ওঠে ছয়জনের মরদেহ। পরদিন পাওয়া যায় আরো একজনের মৃতদেহ। দুই দফা অপহরণের প্রথমে অপহৃত হন এক গাড়িতে থাকা কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তার সঙ্গী তাজুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান স্বপন, লিটন ও তার গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম। কিছুক্ষণ পর অপহৃত হন আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছে নজরুলের পরিবার।

বিশেষ প্রতিনিধি