এইচএসসি রেজাল্টঃ ফেলের হার ২১.৬৭,জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭০ হাজার ৬০২ জন
রুপম হালদার ও পুলক চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর এইচএসসিতে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৩৩। অর্থাৎ ফেলের হার ২১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭০ হাজার ৬০২ জন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে ১৩ আগস্ট (বুধবার) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের কপি তুলে দেন। শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দুপুর ১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এ বছর এইচএসসিতে ঢাকা বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭১ দশমিক ৭৫ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৯ দশমিক ১৬ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭০ দশমিক ১৪, রাজশাহী বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৫৫ শতাংশও দিনাজপুর বোর্ডে ৭৪ দশমিক ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে বলে সংশ্লিষ্ট বোর্ড সূ্ত্রে জানা গেছে।
এবার ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন গ্রহণ করা হবে ১৪ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি থেকে জানানো হয়েছে, ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আলিম ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও ডিআইবিএস পরীক্ষার ফল দেড়টা থেকে পাওয়া যাবে। দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সকল পরীক্ষা কেন্দ্র/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েব মেইল) এবং এসএমএসের মাধ্যমে একযোগে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট থেকে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রের আওতাধীন সকল প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা ফল সংগ্রহ করতে পারবেন। নিবন্ধিত প্রার্থীদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর পাসের হার, শতকরা পাসের হার, মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও প্রতিষ্ঠানের গড় জিপিএ- এই পাঁচ মানদণ্ডের ভিত্তিতে এবারও শীর্ষ প্রতিষ্ঠান বাছাই করা হবে।
উল্লেখ্য,গত ৩ এপ্রিল দেশব্যাপী একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠায় ১০ জুনের এইচএসসি ও ডিআইবিএসের (ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিস) ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে স্থগিত পরীক্ষা ৮ জুন অনুষ্ঠিত হয়। এবার গণিতসহ আরো কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষায়ও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠলেও সরকারের পক্ষ থেকে তা নাকচ করে দেয়া হয়।