হৃৎপিন্ডে উৎপীড়ন!
তার অসুখ। কার অসুখ? ‘সুখ’নেই কেন? নাকি হাজারো সুখের নীল ফুল ফুটেছে?প্রশ্ন এমনও হতে পারে আবার পারে না ।তবে অসুখ মানেই একটা ‘সুখ”সুখ’ গন্ধ ।আলতো হাওয়া দুলিয়ে নীল মেঘ বা তেমন কেউ যদি বলে,”আজ কেমন আছো?”ঘেমে নেয়ে ওঠে শরীর ।সে এক অনন্য অরুণিমায় লবণাক্ত হ্রদের পুনঃজন্ম ।অসুখের সুখটুকু বাদ দিতে পারি না ।ঐ শব্দটি দূরদ্বীপের গোপন নিঃশ্বাসের কাছাকাছি নৈশপ্রহরীবেশে জেগে থাকা প্রবাল প্রাচীরে বার বার আছড়ে পড়ে,সবুজের অহংকারে আবারও মিশে যায় সবুজ গভীর থেকে গভীরে ।একদল সমুদ্র চিল ডানায় লুকোয় ‘অ’আর সুখটুকু সমুদ্রের ফেনায় নেশা ছড়িয়ে দেয় ।”আজ কেমন আছো?” –দাড়ি নয় বা সেমিকোলন নয় সরাসরি প্রাণ পেতে প্রাণের ঘাসবাড়ী ফুলবিছানায়গড়াগড়ি খায় আসন্ন আশ্বিন ।’ অসুখ’ তার । ‘অসুখ’ কার! ‘অ’ সুখ, তুমি কার! একপাশে পড়ে থাকে পরাজিত মানুষ আর তার হৃৎপিন্ডের উৎপীড়ন ।মোড়কের ভেতরে ভিন্ন ভিন্ন রঙে ও আকৃতিতে কল্পতরুর বীজ।ওগুলো ‘ওষুধ’।”ওষুধ খেয়েছো?” আহ্ কী তৃপ্তি । পরম আদরে অদৃশ্য হাতখানি চুলের ফাঁকে ফাঁকে বিলি কাটে না আঙুলে বীণা বাজায় ?কে বাজাতে পারে তার সত্যটুকু জানে যে বেজে ওঠে তার হূৎপিন্ড বা অস্থিত্ব । সুখের কমতি নেই এটুকু বোঝাতে বা বুঝতে “অসুখ” কখনও কখনও কাঙ্খিত । আবারও ঘেমে উঠছে শারীরিক শস্যক্ষেত্র ।ফসলের প্রয়োজনে সেখানে জৈব সার,কীটনাশক ও সেচ জরুরী । অসুখে ধুতুরার শরীরেও ঘাম জমে । এসব অসুখ অবশ্য কোনো স্বেচ্ছাচারী পোকা-মাকড়ের অধীন নয় ।এক দিগন্ত ফসলের আশা সর্বত্র । মোড়কে মোড়কে কল্পতরু বীজ ।অসুখের আমন্ত্রণ দিগন্তে ,সবুজে ,মাটির গভীরে ।সকাল ও রাত জুড়ে জুড়ে ‘অসুখ’ সাদা খাতায় কালো কালিতে এঁকে যাচ্ছে ফসলের ঈঙ্গিত। কী কারণে যেনো পৌঁছানো গেলোনা চৌরাস্তার ডাক্ বাংলোয় । তার ‘অসুখ’ তার সুখেই স্বরবর্ণের প্রথম অক্ষর জুড়ে এঁকে গেছে বৈঁচিফুলের হাসি ,সজারু কাঁটা ।ধীরে ধীরে কল্পতরু গিলে খাচ্ছে ‘সুখ’…
[কাজরী তিথি জামান: প্রাবন্ধিক]