ডিসিসি নির্বাচনঃ জুনের মধ্যে সম্পন্ন করার আগ্রহ ইসি’র
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন আগামী জুনের মধ্যে সম্পন্ন করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর এ জন্য ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে ২৫ জানুয়ারী (রোববার) অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব (অর্থ বিভাগ) মাহবুব আহমেদের কাছে চিঠি দিয়েছেন ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম।
ইসি সূত্র জানায়, ইসির পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বিগত ২০১২ সালে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল হয়। উচ্চ আদালত সেই নির্বাচনের উপর স্থগিতাদেশ দেন। এরপর ২০১৪ সালের ১৩ মে রিট পিটিশনটি খারিজ করে দেন উচ্চ আদালত। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সীমানা জটিলতা থাকার কারণে পুনরায় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। সরকার সীমানা জটিলতা দূর করলে চলতি অর্থ বছরেই নির্বাচন হতে পারে। এ নির্বাচনের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এখন অতিরিক্ত আরও ৪৫ কোটি টাকার প্রয়োজন। তাই নির্বাচনের জন্য মোট ৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে চিঠিতে অর্থ বিভাগের সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ইসি সচিব। এ বিষয়ে ইসির এক কর্মকর্তা না প্রকাশ না করে জানান, ৩১ জানুয়ারি ভোটার তালিকা হালনাগাদ চূড়ান্ত হবে। সে ক্ষেত্রে মে-জুনকে নির্বাচনের উপযুক্ত সময় বিবেচনা করা হচ্ছে। এ সময়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনও করার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, ডিসিসি দক্ষিণের সীমানা চূড়ান্ত হলে মার্চের শেষে বা এপ্রিলের শুরুতে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, যেহেতু আগে থেকে ডিসিসি নির্বাচনের জন্য অর্থ ররাদ্ধ করে রাখা হয়নি। তাই আগেই চেয়ে রাখছি, যাতে করে নির্বাচনের প্রস্তুতিটা থাকে। তিনি আরও বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ঢাকাসহ পুরো দেশের ভোটার হালনাগাদ তালিকা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। আর ডিসিসির সীমানা নির্ধারণ হলে ইসি দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন শুরু করতে পারবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন বলেন, আমাদের সীমানা নির্ধারণের অংশটি এখনও ফাইনাল হয়নি। সর্বোচ্চ আর মাস খানেক লাগতে পারে। সীমানা চূড়ান্ত করতে সর্বোচ্চ দেড়-দুই মাস ধরে নেন। তিনি বলেন, এরপর ডিসিসি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তটি আসবে, বললেও এককভাবে তিনি এই বিষয়ে এখনি কোনো কথা বলতে চাইছেন না।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ডিসিসি নির্বাচন হয়েছিলো ২০০২ সালে ২৫ এপ্রিল। সেবারের নির্বাচিত কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হয় ২০০৭ সালের মে মাসে। বর্তমান কমিশন ২০১২ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর ওই বছরের ২৪ মে তফসিল ঘোষণা করে। কিন্তু উত্তর সিটিতে সীমানা জটিলতা নিয়ে রিট আবেদনের কারণে এ নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। বর্তমানে ডিসিসি উত্তর ও দক্ষিণে প্রশাসক দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।