ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ঃ বাড়ছে বহিরাগতদের আনাগোনা
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দিন দিন বহিরাগতদের উৎপাত বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে নিরিবিলি স্থানে তারা মেতে উঠছেন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে। আর এসব ঘটনায় বিব্রত এবং একইসঙ্গে ক্ষীপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঢাবি শিক্ষার্থী ও অন্যান্যদের ফেসবুকেও এনিয়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। ঘটনার পক্ষে বিপক্ষে দেখা যায় নানা মতামত। দাবি উঠেছে এসব ঘটনার সুষ্ঠু প্রতিকার এবং প্রশাসনের বিশেষ নজরদারির।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যা ঘনানোর সঙ্গে সঙ্গে ঢাবিতে বেড়ে যায় বহিরাগতদের আনাগোনা। আর এতে পুরো ক্যাম্পাস যেন পরিণত হয় রোমান্স এলাকায়। নিজেদের শান্তিপূর্ণ অপকর্ম চালাতে বহিরাগতরা বেশিরভাগ সময় বেছে নেয় কার্জন হল, শহীদুল্লাহ হল ও কলা ভবনের সামনের বট তলা ও আমতলার মতো আলো-ছায়া এলাকা। সেখানে কপোত-কপোতি পাশাপাশি বসে চলে অসামাজিক সব কর্মকাণ্ড। এতে বিব্রত হোন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে এসব এলাকায় মাঝে মধ্যে ঢাবি শিক্ষার্থীরাও এসব অভিসারে মিলিত হোন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। শহীদুল্লাহ হলের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘আমাদের হল এলাকায় বহিরাগতরা বিভিন্ন সময় অসামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা টের পেলে অনেক সময় তাদের বাঁধা দেয়া হয়। আবার অনেকে এসবে প্রশ্রয় দেন। তবে দিন দিন এর প্রবণতা বেড়েই চলছে’। কার্জন হলের সকল বিল্ডিংয়ের মোড়ে মোড়েও এরকম ঘটনা ঘটছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওইসব এলাকায় ঢাবি কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা নোটিস টানানো রয়েছে। কিন্তু তা মাছেন না বহিরাগতরা। শিক্ষার্থীরা জানান, বিভিন্ন বছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করায় সে রাতে ক্যাম্পাসে তেমন কোন কপোত কপোতি দেখা যায়না। এ ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে, যারা এখানে এসে ওপেন ভালোবাসায় লিপ্ত হন তাদের অধিকাংশই বহিরাগত। এসব বিষয়ে ঢাবির রোকেয়া হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইশাত কাশফিয়া ইরা বলেন, আমি সারাদিন যেভাবে মাথা উঁচু করে ক্যাম্পাসে হাঁটি সন্ধ্যার পর সেভাবেই মাথা নিচু করে হাঁটতে বাধ্য হই। কখন না জানি কার দিকে চোখ পড়ে যায়। সেজন্য এখন আমি ক্যাম্পাসে আমার বিচরণও সীমিত করে ফেলেছি। কিন্তু এভাবে সীমা টানতে থাকলে কিছু দিন পর আমরা আর হাঁটার জায়গা পাব না। একই ব্যাপারে ঢাবি প্রক্টর প্রফেসর ড. আমজাদ আলী বলেন, বহিরাগতদের ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সময় এ্যাকটিভ রয়েছে। ইতোপূর্বে নানা পরিকল্পানাও নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরো কঠোর পরিকল্পনা নেয়া হবে।