দিনাজপুরে সন্ত্রাসী কার্যাকলাপের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
সুলতান মাহমুদ, দিনাজপুর থেকে,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ দিনাজপুরে ভুমি দস্যু কর্তৃক ব্যক্তি মালিকানা জমি দখল ও প্রকৃত জমি মালিকের উপর অন্যায় অত্যাচার মিথ্যা মামলা পুলিশ দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে ভুক্তভগী পরিবার ও এলাকাবাসী। ৯ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকালে দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সংবাদ সম্মেলন ও পরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন এলাকাসী ও ভুক্তভগী পরিবার। ভুক্তভগী পরিবারের পক্ষে সহযোগিতা করেন কমিউনিটি ডেভেরপমেন্ট (সিডিএ) সদর ও আয়োজনের ছিলেন বনকালী জন সংগঠন,বড়ইল জন সংগঠন ও গোসাইপুর সংগঠন চেহেলগাজী ইউনিয়ন পরিষদ ।
ভুক্তভগী বিশ্বনাথ চন্দ্র রায় তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া দীর্ঘ দিন যাবৎ ভোগ দখল করে আসা বড়ইল মৌজার খতিয়ান ১৮ দাগ ১৬২৫-এ ৪৩ শতক, খতিয়ান ১৯ দাগ-১০৭৪-এ ৯৭ শতক, খতিয়ান ৪১১ দাগ- ১৭২০-এ ১৩ শতক মোট ১৫৩ শতক জমি আমার দখলে থাকা স্বত্ত্বেও দিনাজপুর ভুমি অফিসে একই এলাকার ধরনী কান্ত রায় কেরানী পদে কর্মরত থাকায় ক্ষমতার দাপটে জোর পূর্বক অন্যায়ভাবে আমার জমি আমার দখলে থাকা সত্ত্বেও বে-আইনীভাবে জাল দলিলের মাধ্যমে গত ১৫ মার্চ আমাকে পুলিশের উপস্থিতিতে পিটিয়ে দখল উচ্ছেদ করে আমার জমি দখল করে নেয়। সেই সাথে কোতয়ালী থানার এসআই হাফিজুর রহমান মামলা ছাড়াই অন্যায় ভাবে আমাদেরকে আটক করে থানা হাজতে শারীরিক নির্যাতন করে। এরই এক পর্যায়ে আমি বিশ্বনাথ ও আমার ভাই মাধব রায় ও প্রতিবেশি রাজুকে আটক করে থানা হাজতে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরে আমরা পুলিশের নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাদেরকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে আমরা ৫দিন চিকিৎসাধীন ছিলাম। বর্তমানে পুলিশের সন্ত্রাসী কার্যালাবের আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
তিনি আরোও বলেন, সাংবাদিক নামধারী স্বরুপ কুমার বকশী বাচ্চু ,মদদে ও তার সহযোগি মানিক, জিতেন, হরেন মহরী গলি রায়, রেঙ্গু রায়, শিতা রায় সহ আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে মারপিট ভয়ভীতি বসতবাড়ীতে আক্রমন, খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল তারই সুত্র করে গত ১৫ মার্চ প্রকাশ্যে দিবালকে পুলিশ দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথের বিধবা মা বীরবালা রায়,বিপিনের স্ত্রী মালতী রানী, বিশ্বনাথের স্ত্রী রেখা রানী বিপিন রায়, প্রতিবেশি রাজু মাধব রায় প্রমুখ।