তামাকজাত দ্রব্যের প্রচারণা বন্ধে আইনের বাস্তবায়ন জরুরী

তামাকজাত দ্রব্যের প্রচারণা বন্ধে আইনের বাস্তবায়ন জরুরী

নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ আইন বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হলে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা কমে আসবে। তামাক কোম্পানীর অবৈধ বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন প্রয়োজন। আইন ভঙ্গ করে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করায় দোষী কোম্পানিগুলোকে জেল ও জরিমানার মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করতে হবে। ২৮ জুলাই (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটভুক্ত ১১টি সংগঠনের আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচীতে এ দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সম্পাদক এম রফিকুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচীতে আন্তর্জাতিক সংস্থা দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক এ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান, নাটাব’র প্রকল্প কর্মকর্তা একেএম খলিলুল্লাহ, একলাব’র প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. মাকসুদ উল্লাহ, গ্রামীন উন্নয়ন সংস্থা’র নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম সরকার, টিসিআরসি’র সহকারী গবেষক মোঃ মহিউদ্দিন, মাধবিকা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম রাজ্জাক, মানবিক’র প্রোগ্রাম অফিসার সুমন শেখ, গ্রীণ মাইন্ড সোসাইটি’র মো: সাগর, অরুনোদয়ের তরুণ দল’র বরাত হোসেন, প্রত্যাশা’র আকিব দিপুসহ অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারী এডভোকেসি অফিসার শুভ কর্মকার।
সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তামাকজাত পন্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধে প্রশাসনের সক্রিয় উদ্যোগ প্রয়োজন। তামাক কোম্পানীগুলোর অবৈধ কর্মকান্ডের ফলে মানুষ তামাকজাত দ্রব্য সেবনে উৎসাহিত হচ্ছে। স্কুল কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে তামাক কোম্পানীগুলো তরুণদের আকৃষ্ট করতে বিক্রয়স্থলে বিভিন্ন কৌশলে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। অবিলম্বে তামাক কোম্পানীগুলোর এসব অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, তামাক কোম্পানীগুলোর লোভনীয় প্রস্তাব ও অবৈধ প্রচারণার কারনে জনগন বিভ্রান্ত হচ্ছে। তরুদের পাশাপাশি পথশিশুরাও তামাকজাত দ্রব্য সেবনে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। তামাক কোম্পানীর এধরনের কার্যক্রম জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরুপ। মানুষকে তামাকজাত দ্রব্য সেবনে নিরুৎসাহিত করতে তামাকজাত দ্রব্যের সকল ধরনের বিজ্ঞাপন ও পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
একেএম খলিলুল্লাহ বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে কোম্পানী কর্তৃক অবৈধ বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা অবিলম্বে বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। জনস্বার্থে প্রণীত আইনটি বাস্তবায়নে সকলের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
সভাপতির বক্তব্যে এম রফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ। আইন অমান্যে জরিমানা ১ লক্ষ টাকা এবং ৩ মাসের জেল এর বিধান রয়েছে। তরুণদের তামাকজাত দ্রব্য সেবনে উদ্বুদ্ধকরণে পরিকল্পিতভাবে এ আইনকে অমান্য করে কোম্পানীগুলো বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, আবুল খায়ের টোব্যাকো এবং ঢাকা টোব্যাকোর অবৈধ প্রচার-প্রচারণা লক্ষনীয়।

নিজস্ব প্রতিনিধি