সঞ্চয়পত্রের সুদহার আপাতত কমছে না

সঞ্চয়পত্রের সুদহার আপাতত কমছে না

নিজস্ব প্রতিনিধি, এসবিডি নিউজ24 ডট কম: সঞ্চয়পত্রের সুদহার আপাতত কমানো হচ্ছে না। সাধারণ সঞ্চয়কারীদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে_ এমন ভাবনা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে সঞ্চয়পত্র ব্যবস্থাপনায় সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একাধিকবার ব্যাংক আমানত ও সরকারের নেয়া অন্যান্য ঋণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানো হবে বলে জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংক তার সর্বশেষ মুদ্রানীতিতে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোর সুপারিশ করে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ তাদের বিভিন্ন পর্যালোচনায়ও এর সুদহার কমানোর পক্ষে মতামত দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান মনে করে, আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা রক্ষায় সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানো উচিত। কেননা, বর্তমানে ব্যাংক আমানতের সুদহার গড়ে ৫ শতাংশের কাছাকাছি, সেখানে সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ শতাংশের বেশি। সঞ্চয়পত্রের প্রতি অতিনির্ভরতার কারণে সরকারের ঋণের সুদব্যয় অনেক বেড়ে যাচ্ছে।


সুদহার তুলনামূলক বেশি থাকার কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি এমনিতেই বাড়ছিল। তবে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণার পর সারা দেশে সঞ্চয়পত্র বিক্রির হিড়িক পড়ে। চাপ এত বেশি ছিল যে, অনেক শাখায় সঞ্চয়পত্রের সংকট দেখা দেয়। গত অর্থবছরে এ খাত থেকে ৫২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। মূল বাজেটে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকারের ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯ হাজার ৬১০ কোটি টাকা।


সঞ্চয়পত্রের সুদহার ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে। যোগাযোগ করা হলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদহার আপাতত কমছে না। এ খাতের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে এর সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত_ এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। সঞ্চয়পত্রের স্কিমগুলো এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সঞ্চয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) বাবুল কুমার সাহা বলেন, সুদহার কমানো হচ্ছে_ এমন কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানা নেই তার। এটি নীতি নির্ধারকদের বিষয় ।

নিজস্ব প্রতিনিধি