৫ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ওষুধের দাম বাড়ানো হচ্ছে
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্ক: স্যালাইনসহ বেশি কিছু ওষুধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। প্রতি পিস স্যালাইনের দাম ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে পাঁচ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ওষুধের দাম বাড়ানো হচ্ছে। দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ম্ফীতির মধ্যে এটা ক্রেতাদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে। রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওষুধের মূল্য নির্ধারণ কমিটির সভায় দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওষুধের কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে দাম বাড়ানো হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস সোসাইটির প্রতিনিধিরা।
দেশের শীর্ষ স্যালাইন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান লিবরা ইনফিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্যালাইনের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে নতুন দাম কবে থেকে কার্যকর হবে তা এখনও জানানো হয়নি। লিবরা ইনফিউশনের ২৩টির মতো স্যালাইন পণ্য রয়েছে বাজারে। এগুলো প্রতি প্যাকেট ৩৫ থেকে ১৪৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়। গত মাসে এসএমসির ওরস্যালাইনের দাম প্রতি পিসে ১ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ডলারের রেট বেড়ে যাওয়া, উৎপাদন খরচ বাড়াসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে স্যালাইনসহ বেশ কিছু ওষুধের দাম বাড়ানোর আবেদন করেছিল কোম্পানিগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এর আগে গত জুন মাসে ওষুধের মূল্য নির্ধারণ কমিটির সভায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বহুল ব্যবহূত ২০টি ওষুধের দাম ১৩২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে ১৫০টিরও কম জেনেরিক ব্র্যান্ডের ২৭ হাজারের বেশি ওষুধ তৈরি হয়। এর মধ্যে মাত্র ১১৭টি ওষুধের দাম সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাকি ওষুধের দাম ওষুধ কোম্পানিগুলোই নির্ধারণ করে। মূল্য নির্ধারণ হয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন সাপেক্ষে। ডলার সংকটে ওষুধের দামে কাঁচামাল আমদানি-রপ্তানিতে কিছুটা প্রভাব পড়ছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁদের কাছে দাম বাড়ানোর অনুরোধ করা হলে তাঁরা প্রথমে তা যাচাই করে দেখেন। কোম্পানিগুলোর আবেদন ন্যায্য হলে দাম বাড়ানো হয়। এটা আসলে রুটিন ওয়ার্ক। ডলারের দাম বাড়লে, তেলের দাম বাড়লে, কাঁচামালের দাম বাড়লে ওষুধের দাম সমন্বয় করা হয়।