৯ মার্চ জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্ক: সাংবিধানিকভাবে দেশে একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ও সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সরকারের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অশনি সংকেত শোনা যাচ্ছে। সরকার যদি তা মোকাবিলা করতে না পারে- তাহলে দেশে বড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। ২৪ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের এক বর্ধিতসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রওশন এরশাদ আরও বলেছেন, পল্লীবন্ধুর নীতি-আদর্শ, তার চেতনা-প্রেরণা, তার ভাবমূর্তি হচ্ছে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব। সেই অস্তিত্বকে যারা মুছে দিতে চায়-তারা জাতীয় পার্টির পরিচয় দেওয়ার অধিকার রাখে না। দ্রব্যমূল্য এখনই সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। আর রমজানকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা ওঁৎ পেতে বসে আছে। এক্ষেত্রে সরকারের প্রধান কাজ হবে- দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। এবারের নির্বাচনী ইশতেহারের মলাট থেকে পল্লীবন্ধুর ছবি মুছে ফেলা হয়েছে। জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠার পর এবার নির্বাচনে পার্টির প্রার্থীদের পোস্টারে পল্লীবন্ধুর ছবি ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তাঁর নির্বাচনী পোস্টারে বঙ্গবন্ধুর ছবি রেখেছেন। অথচ জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যানের পোস্টারে পল্লীবন্ধুর ছবি জায়গা পায়নি। এটা জাতীয় পার্টির অগণিত নেতা-কর্মীর মনে আঘাত দিয়েছে, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তারা ভোট কেন্দ্রে যাবার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
আয়োজিত সভায় ৩৯টি জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, রওশন এরশাদ অনুসারী জাপার মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সুনীল শুভ রায়, গোলাম সারোয়ার মিলন, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, নুরুল ইসলাম মিলন, রফিকুল ইসলাম হাফিজ, এমএ গোফরান, ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মৃধা, কাশেম সরকার, নুরুল ইসলাম নুরু, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ, আব্দুল গাফফার বিশ্বাস, শংকর পাল, কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদা রহমান মুন্নী, খন্দকার মাহতাব উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম শফিক, খোরশেদ আলম খুশু, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হক, ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের, শেখ মাসুকুর রহমান, এমএ সাত্তার, আমিনা হাসান, মোল্লা শওকত হোসেন বাবুল, অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
জাতীয় পার্টিতে পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক চর্চা হবে উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেছেন, আগামী ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হতে পারে। কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো বিভ্রান্তিতে আপনারা কান দেবেন না। ৯ মার্চের সম্মেলন সফল করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনের জন্য রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বরাদ্দ নেয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি পাওয়া গেছে। আপনারা সকাল ১০টার মধ্যে প্রত্যেক কাউন্সিলর এবং ডেলিগেটদের নিয়ে সম্মেলন স্থানে উপস্থিত হবেন। ওইদিন আপনারাই জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন বলে মন্তব্য করেন রওশন এরশাদ।