পেটের মেদ কমানোর প্রক্রিয়া
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্ক: পেটের মেদ কমানো হলো সুস্থ থাকার চেষ্টা করার সময় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে একটি। যদিও ব্যায়াম এবং ডায়েট বড় ভূমিকা পালন করে, তবুও সকালের ছোট ছোট অভ্যাসও পেটের মেদ কমাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। আপনার দিন শুরু করার ধরণটি আপনার বিপাক, হজম এবং মেদ ঝরানোর প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে। যদি পেটের মেদ কমাতে চান তাহলে সঠিক সকালের রুটিনের ওপর মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। পেটের মেদ স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকরভাবে কমানোর জন্য সকালের ৫টি কার্যকরী অভ্যাস সম্পর্কে জেনে নিন-
১. লেবুপানি:
সকালের রোদে জানালার পাশে বসে এক গ্লাস লেবুপানি পান করার অভ্যাস আপনার বিপাকের জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। লেবুতে ভিটামিন সি থাকে, যা চর্বি জারণে সাহায্য করে, অন্যদিকে উষ্ণ পানি হজমে সহায়তা করে এবং বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। ২০১৮ সালে করা একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, হাইড্রেটেড থাকলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এক চিমটি দারুচিনি বা মধু যোগ করলে এর চর্বি পোড়ানোর বৈশিষ্ট্য আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
২. উচ্চ প্রোটিনযুক্ত নাস্তা:
নাস্তায় যা খান তা হয় আপনার চর্বি কমানোর যাত্রাকে দ্রুত করতে পারে অথবা ধীর করে দিতে পারে। উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে, ক্ষুধা কমায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করে। ডিম, পনির এবং বাদামের মতো খাবার পেশী তৈরিতে এবং পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
৩. ফাস্টেড কার্ডিও:
ফাস্টেড কার্ডিও, যার অর্থ নাস্তা খাওয়ার আগে ব্যায়াম করা, এটি সঞ্চিত চর্বি পোড়ানোর একটি দুর্দান্ত উপায়। খালি পেটে ব্যায়াম করলে শরীর কার্বোহাইড্রেটের পরিবর্তে শক্তির জন্য চর্বির ওপর নির্ভর করে। একটি সাধারণ ২০-৩০ মিনিটের দ্রুত হাঁটা, হালকা জগিং বা দড়ি লাফিয়ে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরাতে এবং পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৪. গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস
পেটে মেদ জমে যাওয়ার অন্যতম বড় কারণ হলো স্ট্রেস। উচ্চ কর্টিসলের মাত্রা (স্ট্রেস হরমোন) কোমরের চারপাশে চর্বি জমার কারণ হতে পারে। প্রতিদিন সকালে কয়েক মিনিট গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, যোগব্যায়াম বা ধ্যান কর্টিসলের মাত্রা কমায় এবং হজমশক্তি উন্নত করে, যা চর্বি হ্রাসে ভূমিকা পালন করে। মন শান্ত থাকলে শরীর আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে, একটি স্বাস্থ্যকর বিপাকে সহায়তা করে।
৫. সূর্যালোকের সংস্পর্শ:
সকালের সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে তা পেটের মেদ কমাতে আশ্চর্যজনক প্রভাব ফেলতে পারে। ২০১৩ সালে করা একটি গবেষণা অনুসারে, যাদের শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি-এর মাত্রা রয়েছে তাদের পেটের মেদ কম থাকে। সূর্যের আলো বিপাক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং মেজাজ উন্নত করে, অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ প্রতিরোধ করে। সকালে মাত্র ১০-১৫ মিনিট সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকলে তা স্বাস্থ্যকর ভিটামিন ডি-এর মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে, যা পরোক্ষভাবে চর্বি হ্রাসে সহায়তা করে।