এরশাদের উপস্থিতিতে স্মৃতিসৌধের ভেতরে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষঃ অর্ধশতাধিক আহত, ২০টি গাড়ি ভাঙচুর

এরশাদের উপস্থিতিতে স্মৃতিসৌধের ভেতরে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষঃ অর্ধশতাধিক আহত, ২০টি গাড়ি ভাঙচুর

সাভার প্রতিনিধ,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় আজ ২৬ মার্চ (সোমবার) সকালে বিএনপির দুই পক্ষে এবং পরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। এ ছাড়া সংঘর্ষের সময় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা প্রায় ২০টি যানবাহন ভাঙচুর করে।
সকালে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পরে বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক প্রদান করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ভোর পাঁচটা ৫৫ মিনিটে, রাষ্ট্রপতি ভোর পাঁচটা ৫৮ মিনিটে এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভোর ছয়টা ৪০ মিনিটে স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধের ভেতরে থাকাকালে আগে থেকেই স্থানীয় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের কর্মীরা স্মৃতিসৌধের সামনে নবীনগর ফিলিং অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টারে অবস্থান নেয়। এদের প্রত্যেকের হাতে ছিল কাঠের রোলার। যার এক প্রান্তে জাতীয় পতাকা বাধা ছিল। এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা স্মৃতিসৌধের মূল ফটকে অবস্থান করছিল।
অন্যদিকে, সকাল সোয়া ছয়টার দিকে বিএনপির এক পক্ষের কিছু নেতা-কর্মী ওই ফিলিং স্টেশনের সামনে থাকা বিএনপির অন্য পক্ষকে ধাওয়া করে। এতে ফিলিং স্টেশনে অবস্থান করা ওই পক্ষের নেতা-কর্মীরা দৌড়ে স্মৃতিসৌধের মূল ফটকের দিকে যায়। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাদেরকে ধাওয়া করতে আসছে মনে করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর পাল্টা হামলা করে। এ সময় উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়। উভয় পক্ষের লোকজন ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে আঘাত করে। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা ফিলিং স্টেশনসহ অন্তত ২০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়।
এদিকে, সকাল সোয়া আটটার দিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ স্মৃতিসৌধে পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জাতীয় পার্টির দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং মারামারি হয়। এরশাদের উপস্থিতিতেই স্মৃতিসৌধের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
স্মৃতিসৌধ এলাকায় রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মীদের এ ধরনের সংঘর্ষের ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।

নিজস্ব প্রতিনিধি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।