বগুড়ার শিবগঞ্জে মাদ্রসার ছাত্রকে পায়ে শেকল পড়িয়ে নির্যাতনঃ ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা

বগুড়ার শিবগঞ্জে মাদ্রসার ছাত্রকে পায়ে শেকল পড়িয়ে নির্যাতনঃ ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা

চপল সাহা,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ বগুড়ার শিবগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় শিকলে বেঁধে রেখে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২ মে (বুধবার) দুপুরে বন্দিদশা থেকে নির্যাতনের শিকার ১০ বছরের কিশোর নুর ইসলাম পালিয়ে উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি বেগমের কাছে গিয়ে সাহায্য চাইলে বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়।

থানা পুলিশ ও মাদ্রাসা সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার শিবগঞ্জ হেলিপ্যাড এলাকায় অবস্থিত ওই মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায় নূর ইসলাম। পরে তার বাবা জালাল উদ্দিন তাকে ধরে এনে মাদ্রাসায় রেখে গেলে কর্তৃপক্ষ তার বাম পায়ে শেকল পরিয়ে বেঁধে রাখে। রাতে বেদম মারপিট করা হয় তাকে। এরপর বুধবার সকালে একটি খুঁটির সঙ্গে শেকল আটকিয়ে মাদ্রাসা মাঠে বেঁধে রাখা হয় নূরকে। দুপুরের দিকে সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে সেই খুঁটি উপড়িয়ে চম্পট দেয় নূর। গিয়ে আশ্রয় নেয় শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাসায়। পরে ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি বেগম তাকে উপজেলা পরিষদে নিয়ে এলে শুরু হয় তুমুল হৈ চৈ।

বিষয়টি নজরে এলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  একেএম তারেক পুলিশকে নির্দেশ দেন মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে আটক করার। পরে পুলিশ কৌশলে অধ্যক্ষ মাওলানা সাইদুর রহমানকে ডেকে এনে আটক করেন। সেই সঙ্গে ডেকে আনা হয় তার বাবা জালালকে। আটক অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান শেকলে বেঁধে রাখা ঠিক হয়নি উলে­খ করে বলেন, নূর ইসলামের বাবার কথা মতোই তারা নূরকে শেকল পড়িয়ে দিয়েছিলেন।

বিকেলে উপজেলা পরিষদে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে নূরের বাবা জালাল উদ্দিন ও মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা সাইদুর রহমানকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৫দিনের কারাদন্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম তারিক।

শিবগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, অভিযুক্তরা জরিমানার টাকা জমা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।

বিশেষ প্রতিনিধি