মাইনাস টু বলে যে কথা বলা হয়, তার মানে যুদ্ধাপরাধীদের প্লাস করাঃ হাসানুল হক ইনু
সৌরভ চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে ‘সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন’ অভিযোগ করে তাকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার হুমকি দিয়েছেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। ২৫ মে (শুক্রবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সা¤প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “মাইনাস টু বলে যে কথা বলা হয়, তার মানে যুদ্ধাপরাধীদের প্লাস করা। যুদ্ধাপরাধীকে রক্ষা করতেই এ ফর্মুলা। এখন হবে মাইনাস ওয়ান, মাইনাস যুদ্ধাপরাধী, মাইনাস খালেদা জিয়া।” বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দেশের দুই প্রধান দলের নেতা শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করার পর ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ আলোচনায় আসে। দুই নেত্রীকে দেশের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়াই ছিল কথিত সেই ফর্মুলার উদ্দেশ্য।
২০০৮ সালের নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। গ্রেপ্তার করা হয় জামায়াতের শীর্ষ ছয় এবং বিএনপির দুই নেতাকে। খালেদা জিয়া ও তার দল শুরু থেকেই এ বিচারের বিরোধিতা করে আসছে। দলটির অভিযোগ, বিরোধী দলকে হেনস্তা করতেই সরকার এ বিচার ‘সাজিয়েছে’। বিএনপির এই অবস্থানের সমালোচনা করে জাসদ সভাপতি বলেন, “যুদ্ধাপরাধী, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে, তাতে সফল হতে হলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান চালাতে হবে। তাদের (যুদ্ধাপরাধী) সঙ্গ ত্যাগ না করলে তাকে (খালেদা) রাজনীতির মঞ্চ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।”
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে ইনু বলেন, “আমরা শেষ সুযোগ দিচ্ছি, আপনি যুদ্ধাপরাধী, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করুন।”
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী সব যুদ্ধাপরাধীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান।
সবাইকে আগেই গ্রেপ্তার করা হলে ‘বাচ্চু রাজাকার’ (মাওলানা আবুল কালাম আজাদ) পালাতে পারতো না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন শওকত আলীও।
তিনি বলেন, “আগামীতে ক্ষমতায় গেলে দলটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে না।”
অজয় রায়ের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বক্তব্য রাখেন।