দ্বৈত্য নাগরিক দেবরকে বিয়ে করে বিপাকে ভাবী!

দ্বৈত্য নাগরিক দেবরকে বিয়ে করে বিপাকে ভাবী!

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ স্বামীর মৃত্যুর পর ভারতীয় নাগরিক দেবরকে অবৈধ ভাবে বিয়ে করে স্বামীর রেখে যাওয়া কোটি টাকার সম্পদ তছরুপ করার অভিযোগ উঠেছে। লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ বিক্রির অর্থ কৌশলে ভারতে পাচারের পাশাপাশি এতিম দু শিশুর ভবিষ্যত নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছে পুরো পরিবার। এঘটনায় সম্প্রতি এতিম দু শিশুর দাদা এঅভিযোগ তুলে ধরে প্রতিকার দাবী করেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি সাতক্ষীরা শহরের সিএন্ডবি বাঙ্গালের মোড় এলাকায়।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, শহরের বাঙ্গালের মোড় এলাকার শেখ মোহাম্মাদ হোসেনের ছেলে শেখ খুরশিদ আলম প্রায় কোটি টাকার সম্পদ ২ শিশু সন্তান শেখ ইমরান ও শেখ সালমানসহ স্ত্রী নাহার পারভীনকে রেখে গত বছরের ১৬ মে মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পরপরই বৈধব্য জনিত ইদ্দতকাল পার হওয়ার আগেই গত বছরের ২৭ আগস্ট ভারতীয় বাসিন্দা দেবর শেখ মাহমুদ আলমের সঙ্গে নাহার পারভীন দ্বিতীয় বার বিয়ের পিড়িতে বসেন। বর্তমান স্বামী মাহমুদ আলম বৈধ ও অবৈধ ভাবে দুদেশে যাতয়াত করছে। তিনি ভারতের বড় মসজিদ জাকারিয়া স্ট্রেট ৪৬ কোলকাতা এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্যসহ বসবাস করে আসছেন। সেখানে শেখ মাহমুদ আলমের ভাইসহ অন্যান্যরা বসবাস করছে।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের সিএন্ডবি মোড়ে জনতা ব্যাংক বাকাল শাখার দ্বিতল বিল্ডিংসহ বাড়ি রয়েছে। ওই ভবনের নীচ তলায় দোকান রয়েছে ১০টি। উক্ত ভবনের উত্তর পাশে আরও ৪টি দোকান ঘর ভাড়া দেওয়া আছে। বড় বাজারের মধ্যে মুন লাইট ক্লথ স্টোর নামের আরও একটি দোকান ঘর রয়েছে। যা প্রতি মাসে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা ভাড়া উত্তোলন করে স্বাভাবিক ভাবেই জীবন যাপন করা যায়। অথচ নাহার পারভীনের বর্তমান স্বামী এসমস্ত সম্পদ কৌশলে বিক্রি করে ভারতে পাচার করার পায়তারা করছে বলে চাচা শ্বশুরের অভিযোগ। চলতি বছরের গত ৯মে ২৯৭৮ নং কোবালা দলিল মুলে দাতা নাহার পারভীন কালিগঞ্জ উপজেলার মাগুরালি গ্রামের মৃত জববার আলীর ছেলে মোঃ আব্দুল কুদ্দুস এর নিকট বড় বাজারের ১২৩৩০ দাগের এক শতক জমি বিক্রিয় করেছেন। উক্ত দলিলে জমির দর নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। এছাড়াও গত ৪/৫ মাসের মধ্যে বিভিন্ন দোকান ঘর ভাড়া দেওয়ার নামে অগ্রিম হিসেবে আরও কয়েক লাখ টাকা তার কাছে জমা রেখেছেন ব্যবসায়িরা। অথচ বিপুল পরিমান টাকা হাতে থাকার পরও জমি/দোকন বিক্রির বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে পরিবারকে। এ সমস্ত টাকা কোথায় যাচ্ছে এমন প্রশ্ন পরিবারের অন্যান্যদের। এদিকে নাহার পারভীনের প্রতিবেশি আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন কালু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বে এমন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এঘটনার জেরধরে নাহার পারভীনের চাচা শ্বশুর শেখ মোঃ আকবর হোসেন এতিম দুশিশুর ভবিষ্যতের বিষয়টি ভেবে উক্ত সম্পদ রক্ষার্থে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার পাশাপাশি সম্প্রতি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে বসে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় জনৈক সেলিম ও মাকসুদ আলম নামমাত্র সহযোগিতা করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ।

সার্বিক ঘটনায় অভিযুক্ত নাহার পারভীন ব্যক্তিগত সেলফোনে এসমস্ত অভিযোগের বিষয়বস্ত্ত অস্বীকার করে বলেছেন, তার বর্তমান স্বামীর এদেশেই জন্ম। পড়াশুনার জন্য বাইরে ছিল। পূর্বের স্বামী দেনা রেখে মারা যাওয়ায় জমি বিক্রি করতে হয়েছে। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, স্বামী যখন অসুস্থ্য ছিল ৫ হাজার টাকা ধার চেয়ে চাচা শ্বশুরের কাছে পাইনি। এখন এত দায়িত্ব তাকে কে দিয়েছে? এছাড়াও ২৪ হাজার টাকা ঘরভাড়া পেয়েও ছেলেদের লেখাপড়াসহ সার্বিক খরচ কুলিয়ে উঠা যায়না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এসবিডি নিউজ ডেস্ক