ষড়যন্ত্রের শিকার নয় নাফিসের অপরাধ নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র
বিশেষ প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশি যুবক কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিসকে অভিযুক্ত করেছে ব্রুকলিনের গ্র্যান্ড জুরি। ১৫ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ব্রুকলিনের ফেডারেল আদালতে জমা দেয়া গ্র্যান্ড জুরির নথিতে ‘ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্যে বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা’ এবং ‘একটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা করার চেষ্টা’র অভিযোগ আনা হয়েছে নাফিসের বিরুদ্ধে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হতে পারে। নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট ফেডারেল কোর্টের মুখপাত্র রবার্ট নারডোজা বলেন, ‘এ দুটি অভিযোগের বিষয়ে কাজী নাফিসের বক্তব্য চাওয়া হবে। তবে তাকে কবে এজলাসে হাজির করা হবে তা নির্ধারিত হয়নি।’ নাফিসের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে হেইডি সিজার নামে একজন আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে তার জামিনের আবেদনের বিষয়ে কবে শুনানি হবে; সে তারিখও এখনো ঠিক হয়নি। গত ১৭ অক্টোবর কথিত ‘স্টিং অপারেশনের’ মাধ্যমে নাফিসকে গ্রেফতার করে নিউ ইয়র্ক পুলিশ ও এফবিআই। তারা জানায়, এই বাংলাদেশি যুবক এক হাজার পাউন্ড বিস্ফোরক দিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ভবন উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল; কিন্তু তার ভ্যানে সত্যিকারের বিস্ফোরক না থাকায় সেটি আর ফাটেনি।
২১ বছর বয়সী নাফিসকে রাখা হয়েছে ব্রুকলিনের কারাগারে। এই চাঞ্চল্যকর মামলাটি চলবে কি না সে সিদ্ধান্ত নিতে বিষয়টি গ্র্যান্ড জুরিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব মিসৌরীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন নাফিস; কিন্তু সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে ওই কোর্স শেষ না করেই জুনের শেষ সপ্তাহে নিউইয়র্কে একটি টেকনিক্যাল কলেজে ভর্তি হন তিনি। এফবিআই নাফিসকে গ্রেফতারের পর ঢাকায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। বাংলাদেশি নাফিস যাতে যাবতীয় আইনি সহায়তা পায়, তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের। তিনি কাজী নাফিসের সাথে একান্তে কথা বলার অনুমতি চাইলেও এখন পর্যন্ত তা পাওয়া যায়নি বলে দূতাবাস কর্মকর্তারা জানান।