জামায়াতের হরতালঃ নাশকতারোধে ব্যাপক প্রস্তুতি,জনমনে আতঙ্ক!
বিশেষ প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ জামায়াত-শিবিরের তান্ডব ও আজকের হরতালকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে অঘোষিত রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পাড়া-মহল্লার অলিগলি, প্রধান সড়ক এমনকি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বিপুল পরিমাণ পুলিশ, র্যাব এবং গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে মোতায়েন করা হয়েছে। সন্দেহজনক লোকজন হলে তাকে তল্লাশি করা হচ্ছে। আর সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নাশকতারোধে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এ সময় অতি জরুরি না হলে কাউকে ঘর থেকে বের না হতে, এমনকি অপ্রয়োজনে কয়েকজনকে এক সঙ্গে বসে আড্ডা না দেয়ার অনুরোধ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, হরতালে কোনো ধরনের নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা রোধে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকার বাইরে থেকে এনেও মোতায়েন করা হয়েছে। যারা কেবলমাত্র কোনো ফৌজদারি অপরাধে জড়িত থাকবে কেবল তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ কথা সত্য যে, অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এ নিরাপত্তা জোরালোভাবে নেয়া হয়েছে সময়কে বিবেচনা করে। জানা গেছে, মাঠ পর্যায়ের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে জামায়াত বড় ধরনের নাশকতা করার পাঁয়তারা করছে। তারই অংশ হিসেবে তারা সম্প্রতি মরণ কামড় দিয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ দেশের জনগণের জানমালের মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। আজ তারা হরতালের দিন এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দিতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা সন্দেহ করছেন। এ কারণে রাজধানীর উত্তরা, খিলক্ষেত, গাবতলী, শ্যামলী, মহাখালী, সাতরাস্তা, তেজগাঁও, রামপুরা, বাড্ডা, মৌচাক, মিরপুর, কাজিপাড়া, মতিঝিল, দৈনিক বাংলা মোড়, পল্টন, হাইকোর্ট মোড়, মগবাজার, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, ফার্মগেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যাত্রবাড়ী, পুরান ঢাকা, হাজারীবাগসহ পুরো এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সমপ্রতি এসব এলাকায় জামায়াত অতর্কিত মিছিলের নামে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুর করে। কোথাও কোথাও মেট্রোপুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের পোশাকধারী পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে রয়েছে কয়েক হাজার গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের বাড়তি টহলও রাজধানীর অনেক এলাকায় চোখে পড়ে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে প্রতিটি থানা এলাকাকে কয়েকটি জোনে ভাগ করা হয়েছে।
হামলার টার্গেট হতে পারে জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ মোড়, সচিবালয়, দূতাবাস, হাই-কমিশন, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, বিমানবন্দর, পাঁচতারা হোটেল, স্টেশন, লঞ্চঘাট, বাস টার্মিনালসহ বিশেষস্থানে পোশাক পরিহিত পুলিশের সঙ্গে সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা লোকজনের গতিবিধি নজরদারি করছে। কারাগারসহ স্পর্শকাতর স্থানের উঁচু ভবনের ছাদে র্যাব সদস্যরা ক্যামেরা নিয়ে লোকজনের গতিবিধি দেখভাল করছেন। মন্ত্রী-এমপিদের বাসা, ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, বারিধারাসহ কূটনীতিক পাড়া, বিদেশি হাইকমিশন-দূতাবাসে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।